কর্মী-সমর্থকদের ভিড় এড়াতে ব্যবস্থা নিচ্ছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। —ফাইল চিত্র।
ট্রেন থেকে নামলেই মিলছে বাস। ওঠার পরে বাস চলে যাচ্ছে নির্দিষ্ট ক্যাম্পে। সেখানেই থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা।
ব্রিগেডের জন্য গত তিন দিন ধরে হাওড়া স্টেশনে আসা কর্মী-সমর্থকদের ভিড় এড়াতে এমনই ব্যবস্থা করেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। হাওড়া, সাঁতরাগাছি, শালিমার থেকে সমর্থক ও কর্মীদের নিয়ে আসতে রাখা হয়েছে ৭০০ বাস। জেলা থেকে আসা সমর্থকদের পাঠানো হয়েছে উত্তর হাওড়া, সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক ও আলিপুরের ‘উত্তীর্ণ’তে। যাঁরা বাসে যাননি, তাঁদের পাঠানো হয়েছে বিনা পয়সার লঞ্চে। সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা থাকায় সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়নি।
হাওড়ার জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ রায় বলেন, ‘‘হাওড়ায় প্রায় ৩০ হাজার লোকের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। তাঁরা থাকবেন বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাড়িতে।’’ হাওড়া স্টেশনে দলের পক্ষে দায়িত্বে আছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বাণী সিংহ ও হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ বিভাস হাজরা। বিভাসবাবু এ দিন বলেন, ‘‘ব্রিগেডে যাওয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ আসছেন। তাঁদের নির্দিষ্ট ক্যাম্পে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৭০০ বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ উত্তর হাওড়ার তৃণমূল সভাপতি তথা হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ গৌতম চৌধুরী বলেন, ‘‘প্রায় ৩০ হাজার লোকের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। খাবারের তালিকায় থাকছে রুটি-মাংস।’’ ডিম-ভাতের বদলে এ বার রুটি-মাংস কেন? গৌতমবাবু বলেন, ‘‘ডিম ছাড়াতেই আগের বার ৩৪ হাজার টাকা লেগেছিল। সব মিলিয়ে খরচ বেশি হত। তাই মাংসের ব্যবস্থা।’’
পিছিয়ে নেই সল্টলেকও। বিধাননগরের নেতা-কর্মীরা বলছেন, শুক্রবার দুপুরের মধ্যে প্রায় ২৭ হাজার লোক এসেছেন। তাঁদের আশা, রাতের মধ্যে সেই সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়াবে। কর্মী-সমর্থকদের ব্রিগেডে পৌঁছে দিতে থাকবে ১০০টি বাস। এ দিন সল্টলেকে আয়োজন খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy