কাঠের গুঁড়ি ফেলে পথ আটকানো হয়েছে খেজুরিতে। নিজস্ব চিত্র
কখনও ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়া, কখনও পটকা ফাটানো। তার জেরে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের সংঘর্ষ অব্যাহত রইল রবিবারেও। দোকান দখল থেকে গুলি, বাদ গেল না কিছুই।
দু’দলের মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় উত্তর কলকাতার সিঁথিতে। বিকেল ৫টা নাগাদ বিজয় মিছিল বার করে বিজেপির কাশীপুর-বেলগাছিয়ার মন্ডল কমিটি। সাউথ সিঁথি রোডের কাছে জনা কয়েক তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের মোটরবাইকের মুখোমুখি এসে যায়। বিজেপির মিছিল থেকে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি ওঠে, তৃণমূল কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর নামে স্লোগান দেন। পুলিশ দু’পক্ষের মাঝে দাঁড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে বিজেপির মিছিলটি সিঁথি থানার দিকে এগোতে শুরু করলে তৃণমূলও মিছিল বার করে। থানার কিছুটা আগে দুই পক্ষ ফের পাশাপাশি চলে আসে। পুলিশই মাঝে দাঁড়িয়ে সংঘাত আটকায়। ঘন্টাখানেক পরে উভয় পক্ষকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই
বেলেঘাটায় বিজেপির মিছিলে তৃণমূলের হামলার অভিযোগ ওঠে। কয়েক জন জখম হয়েছেন বলে বেলেঘাটা থানায় স্মারকলিপিও জমা দেয় বিজেপি।
এ দিন ভোরেই দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী। নাম আমন রায়, মালদহ মেডিক্যাল কলেজে তিনি ভর্তি আছেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, ভোটের ফল বেরনোর পরেই সুখদেবপুর অঞ্চলের কাঁটাতোড় এলাকার বাবলু রায়-সহ বেশ কয়েক জন তৃণমূল কর্মী বিজেপি শিবিরে যোগ দেন। তাঁদের ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়া নিয়ে প্রায়ই আমনদের সঙ্গে ঝামেলা হচ্ছিল। এ দিন ভোরে বাবলু দলবল নিয়ে আমনের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গুলি করে বলে অভিযোগ। বিজেপি অবশ্য দাবি করেছে, তাঁদের কেউ ওই ঘটনায় জড়িত নয়। পুলিশও বলছে, পুরনো ব্যক্তিগত গন্ডগোলের জেরেই হামলা। তিন জনকে আটক করা হয়েছে।
বিজেপির বিজয় মিছিলে পটকা ফাটানো নিয়ে বিকেলে গোলমাল বাধে পুরুলিয়া মফস্সল থানার ভাগাবাঁধ গ্রামে। পটকার আগুন ছিটকে রাস্তার পাশে এক তৃণমূল সমর্থকের খড়ের পালুইয়ে গিয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। তা নিয়ে দু’পক্ষের মারামারি বেধে যায়। পাঁচ জন জখম হন। তবে কোনও পক্ষই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেনি।
নদিয়ার নবদ্বীপ থানার ইদ্রাকপুরে শনিবার রাতে বিজেপির বিজয় মিছিল ঘিরে গোলমাল বেধেছিল। বিজেপির অভিযোগ, বিকাশ ঘোষ নামে এক জনের পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারা হয়। তিনি নবদ্বীপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দশ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে তৃণমূল পাল্টা অভিযোগ, বিজয় মিছিলে আসা বিজেপি সমর্থকেরাই প্রথমে হামলা চালায়। তাতে মিঠুন ঘোষ নামে এক তৃণমূল কর্মী জখম হন। তিনিও হাসপাতালে ভর্তি।
নদিয়ারই হাঁসখালিতে রবিবার দুপুরে তৃণমূল কার্যালয় ভাঙচুর এবং এক তৃণমূল নেতার দোকান দখলের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। গাজনা ও ময়ূরহাট বাজারে উত্তেজনা ছড়ায়। রাতে ভীমপুরের দফরপোতায় কীর্তনের আসরে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি ওঠায় গোলমাল বেধে যায়। বোমা পড়ে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। দুই পক্ষই যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy