Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

গরু পাচার নিয়ে নজরদারির বার্তা

কিন্তু তাতে পাচার কিছুটা কমলেও তা যে পুরোপুরি বন্ধ হয়নি, সেই তথ্য তাঁর অজানা নয়। মঙ্গলবার ব্যারাকপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলে গেলেন, ‘‘গরু পাচার কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’’

নির্মল বসু ও সীমান্ত মৈত্র
বসিরহাট ও বনগাঁ শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৭ ০৩:০৫
Share: Save:

গরু পাচার রুখতে ফের কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘‘যে নেতাই বলুক না কেন, একটাও গরু পাচার হবে না। এটাই আমার ফার্স্ট অ্যান্ড লাস্ট ওয়ার্নিং।’’

এর আগেও উত্তর ২৪ পরগনায় প্রশাসনিক বৈঠকে এসে তিনি গরু পাচার বন্ধে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশকে। কিন্তু তাতে পাচার কিছুটা কমলেও তা যে পুরোপুরি বন্ধ হয়নি, সেই তথ্য তাঁর অজানা নয়। মঙ্গলবার ব্যারাকপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলে গেলেন, ‘‘গরু পাচার কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’’

এ দিন ব্যারাকপুরের বৈঠকে বসিরহাটের আইসি নাসিম আখতারের খোঁজ করেন মুখ্যমন্ত্রী। উঠে দাঁড়ান আইসি। তাঁকে কোনও কথা বলার সুযোগ না দিয়েই কড়া গলায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘একটা গরুও যেন এ পার থেকে ও পারে যেতে না পারে। আমার দল বা অন্য দলের যে-ই এ কাজে জড়িত থাক না কেন, তা বরদাস্ত করা হবে না। পুলিশকে সজাগ থাকতে হবে।’’

উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়েরও খোঁজ করেন মমতা। জানতে চান, গরু পাচার রুখতে কী ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ? সুপার জানান, শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হচ্ছে। একটা সময় ছিল, রাতের অন্ধকারে ফসলের খেত মাড়িয়ে শ’য়ে শ’য়ে গরু পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হতো সীমান্তের ও পারে। পাচারকারীদের আক্রমণে বিএসএফ জওয়ানদের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোরায় বাংলাদেশে মৃত ৭

সেই পরিস্থিতি কিছুটা হলেও শুধরেছে বলে জানাচ্ছেন সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষজনই। প্রকাশ্যে ট্রাকে করে যশোর রোড বা বনগাঁ-চাকদহ সড়ক দিয়ে গরু পাচার তেমন চোখে পড়ছে না। তবে গাইঘাটা, গোপালনগর ও বাগদায় তা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। বসিরহাটে ডাঙা পথে গরু পাচার প্রায় বন্ধ হলেও সুন্দরবনের নদী-জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পাচার এখনও চলছে। সরবেড়িয়া হয়ে নৌকা-ভর্তি করে গরু সুন্দরবনের জঙ্গলপথ ধরে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

তবে পাচারের কৌশল বদলেছে। ছোট গাড়িতে মুখ-পা বেঁধে ঠেসেঠুসে তিন-চারটি করে গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কখনও মোটর ভ্যানে দু’তিনটি গরু তুলে উপরে বিচুলি চাপা
দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশের একটি অংশ জানাচ্ছে, বেআইনি এই কারবারে রাজনীতির অনেক বড় মাথার প্রশ্রয় আছে। বনগাঁ ও সন্দেশখালিতে শাসক দলের দুই নেতার নামও উঠে আসছে এই সূত্রে। পুলিশের একাংশের মতে, সব তথ্যই আছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সে জন্যই এমন বার্তা দিয়ে গেলেন তিনি।

নিশানায় পুলিশ

• প্রসঙ্গ শব্দদূষণ

পুলিশের ভূমিকা নিতান্ত দায়সারা

• প্রসঙ্গ জাহাজ কারখানা

আমি অভিযোগ পাই, আপনারা পান না!

• প্রসঙ্গ গরু পাচার

সীমান্ত দিয়ে গরু, অন্য জিনিস স্মাগলিং হচ্ছে

• প্রসঙ্গ ট্রাফিক

ব্যারাকপুরের পুলিশকে আরও স্মার্ট হতে হবে

• বারাসত কলেজে গণ্ডগোল

পুলিশ যদি চমকায়, টাফ হয়, তা হলে এ সব হয় না

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE