মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শাসক শিবিরে জোরাল জল্পনা— ‘এক নেতা এক পদ’ নিয়ম চালু হতে পারে তৃণমূলে। দলীয় সূত্রে আরও খবর, বিধানসভা ভোটে জয়ের পরেই বড়সড় রদবদল হতে চলেছে সংগঠনে। আগামী শনিবার তৃণমূল ভবনে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। দলীয় এক সূত্রের দাবি, ওই বৈঠক থেকে ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। যে সব জেলা সভাপতি এবার মন্ত্রী হয়েছেন, তাঁদের জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে নতুন মুখদের জায়গা দেওয়া হতে পারে। বৈঠকে জেলা সভাপতিদের পাশাপাশি তলব করা হয়েছে সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়ক ও পুরসভার চেয়ারম্যান তথা পুর প্রশাসকদের।
ওই রদবদলেই কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণ মূলের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর সম্ভাবনা। দল থেকে অধুনা বিচ্ছিন্ন শিশিরকে জেলা সভাপতির পদ থেকে আগেই সরানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে চেয়ারম্যানের পদে এখনও রেখে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে দলের একাংশে ‘সঙ্গত আপত্তি’ উঠেছে।
মন্ত্রী অরূপ রায় সমবায় দফতরের সঙ্গে হাওড়া পুর নিগমের পুর প্রশাসকের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁকে হাওড়া জেলা সংগঠনের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হতে পারে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান কৃষি বিপণনমন্ত্রী বিপ্লব মিত্রকেও তাঁর দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা। বর্ধমান পূর্বের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ মন্ত্রী হয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র এবং হাওড়া গ্রামীণ জেলার সভাপতি পুলক রায়ও মন্ত্রী হয়েছেন। ওই জেলাগুলিতে ভোটের ফল ‘সন্তোষজনক’ হয়েছে। তাই ওই সব জেলার সভাপতিদের এখন মন্ত্রিত্বের ‘বৃহত্তর’ দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাঁদের জায়গায় নুতন মুখ এনে তাঁদের আবার ভবিষ্যতের প্রশানিক দায়িত্বের জন্য তৈরি করা হবে।
সভাপতিদের পাশাপাশিই জেলা সংগঠনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রিদেরও দায়িত্ব থেকে সরানোর সম্ভাবনা। আবার এমন কিছু সভাপতি রয়েছেন, যাঁদের জেলায় বিধানসভা ভোটে এবার একেবারেই ভাল ফল করতে পারেনি তৃণমূল। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় তৃণমূলের ফলাফল খারাপ হয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলায় তৃণমূল একটি আসনও পায়নি। কোচবিহারে মাত্র দু’টি আসনে জিতেছে শাসকদল। দার্জিলিং জেলায় কালিম্পংয়ে তৃণমূল সমর্থিত নির্দল ছাড়া সাফল্য নেই। দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার ১২টির মধ্যে চারটি আসনে জিতেছে তৃণমূল। পুরুলিয়ায় তিনটিতে। তাই ওই জেলাগুলির সভাপতিদের সরিয়ে নতুন হাতে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের দাবি।
সেই সূত্রেই দলের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে, সংগঠনে নতুন ‘এক পদ এক নেতা’ নিয়ম জারি করতে পারেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। শনিবারের বৈঠকে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। থাকবেন যুব সংগঠনের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতারা। থাকার কথা তৃণমূলের পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরের। তবে এই তালিকাবুধবার পর্যন্ত চূড়ান্ত নয়। দলনেত্রীর নির্দেশে সব বদলে যেতে পারে। এমনকি, ‘এক নেতা এক পদ’ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও ‘ধীরে চলো’ নীতি নেওয়া হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy