Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Jagadhatri Puja 2021

Jagadhatri puja 2021: করোনাকালের মন্দা কাটিয়ে চন্দননগরের আলোক-ব্যবসায়ীরা এ বার সেরা জগদ্ধাত্রীর খোঁজে

চন্দননগর লাইট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এ বারই প্রথম ১০টি সেরা বারোয়ারি জগদ্ধাত্রী পুজোকে সম্মান জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

চন্দননগরের বেশোহাটা বারোয়ারির জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রতিমা।

চন্দননগরের বেশোহাটা বারোয়ারির জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রতিমা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২১ ১৪:৩২
Share: Save:

করোনা সংক্রমণের কারণে গত দু’বছরে তাঁদের ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে বিস্তর।সেই ধাক্কা সামলে এ বার চন্দননগরের আলোক-ব্যবসায়ীরা সেরা জগদ্ধাত্রীর খোঁজে নেমে পড়লেন। ঐতিহ্যশালী চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো। তেমনই চন্দননগরের আলোকশিল্পীদের খ্যাতি ভারত জোড়া। করোনা সংক্রমণের কারণে নিজেদের ব্যবসায়িক ক্ষতির হিসেবনিকেশ সরিয়ে রেখে এ বারই প্রথম চন্দননগরেরসেরা বারোয়ারিদের সম্মানিত করতে চলেছেন তাঁরা।চন্দননগর লাইট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এ বারই প্রথম তাঁরা ১০টি সেরা বারোয়ারি জগদ্ধাত্রী পুজোকে সম্মান জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বুধ এবং বৃহস্পতিবার চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর ষষ্ঠী এবং সপ্তমী তিথি। এই দুই দিন তাঁরা চন্দননগরের সেরা বারোয়ারি পুজোগুলি ঘুরে দেখে পুরস্কৃত করবেন বলে জানিয়েছেন।

সেরা বারোয়ারির পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে যে বিচারকমণ্ডলী তৈরি হয়েছে, তাতে নেই কোনও আলোক-ব্যবসায়ী। বরং হুগলি জেলার কৃতী সন্তানদের নিয়ে তৈরি হয়েছে বিচারকমণ্ডলী। বিচারকমণ্ডলীতে রয়েছেন চিত্রশিল্পী অভিজিৎ দাস এবং তারকনাথ মুখোপাধ্যায়, সাহিত্যিক মানস সরকার এবং অভিনেত্রী মৌসুমী চৌধুরী। নিজেদের এমন উদ্যোগ প্রসঙ্গে চন্দননগর লাইট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সহযোগী সম্পাদক জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘গত দু’বছর করোনা সংক্রমণের কারণে চন্দননগরের আলো শিল্পের খুব ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু চন্দননগরের বারোয়ারি জগদ্ধাত্রী পুজোর ঐতিহ্য ধরে রাখাও আমাদের দায়িত্ব। করোনাকালে আর্থিক সঙ্কটের সময় চন্দননগরের পুজো উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতেই আমরা এই পুরস্কার চালু করেছি।’’

মোট ১০টি পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে এই প্রথম উদ্যোগে। সেরা তিন প্রতিমা, সেরা তিন প্রতিমার সাজসজ্জা, সেরা তিন মণ্ডপ এবং একটি সেরার সেরা পুরস্কার দেওয়া হবে। বিচারকমণ্ডলীতে থাকা সাহিত্যিক মানস হুগলি জেলার জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে গবেষণাও করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এবং চন্দননগরে ফরাসিদের দেওয়ান ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী ১৭৫৫ সালে প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা করেন। তারপর চন্দননগরের চাল ব্যবসায়ীদের হাত ধরে সেই বারোয়ারি পুজো এক অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে। আর সেই ঐতিহ্যকে এক নতুন দিশা দিয়েছেন এখানকার আলোকশিল্পীরা। সেই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সেরা বারোয়ারি পুজো খোঁজার প্রয়াস নিঃসন্দেহে প্রংশসনীয় উদ্যোগ।’’

চিত্রশিল্পী তারকনাথ ‘‘এত দিন আলোকসজ্জার সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন আলোকশিল্পীরা। এ বার তাঁদের উপস্থিতিটা আরও ভাল ভাবে তুলে ধরতেই এই পুরস্কার চালু করা হয়েছে। আলোকশিল্পীরা পুরস্কার পান। এ বার তাঁরাই পুরস্কার তুলে দেবেন। বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যাতে নিরপেক্ষতা বজায় থাকে সে কারণে আলোকশিল্পীরা নিজেরা এই বিচারকমণ্ডলীতে নেই। তা ছাড়া এই সময়ে তাঁদের ব্যস্ততা তুঙ্গে থাকে। বিচারকমণ্ডলীতে রয়েছেন স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত শিল্পীরা। তাঁদের হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে সেরা পুজো বাছাইয়ের ভার। পুরস্কার দেওয়ার আরও একটা উদ্দেশ্য, মৃৎশিল্পী, মণ্ডপসজ্জা এবং পুজোর অন্যান্য ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্তরা যাতে আরও উৎসাহিত হন।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy