Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Alipore

Alipore: আপাতত বন্ধ থাকবে আলিপুর উন্নয়ন প্রকল্প, হেরিটেজ সংরক্ষণ করতে বলল আদালত

রাজ্য ওই দাবি মানতে নারাজ। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের সওয়াল, হেরিটেজ চরিত্র বদল হচ্ছে না। যা ছিল তাই থাকবে। এলাকাটির উন্নয়নের জন্য কয়েকটি জিনিসকে অন্যত্র সরানো হচ্ছে। রাজ্যের সেই ক্ষমতা রয়েছে।

আলিপুরের একটি হেরিটেজ ভবন।

আলিপুরের একটি হেরিটেজ ভবন। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২২ ২০:৪৬
Share: Save:

আপাতত আলিপুর হেরিটেজ ভবনের কাজে হাত দিতে পারবে না রাজ্য। সেখানে কোনও হেরিটেজ সামগ্রী থাকলে তা সংরক্ষণও করতে হবে। সোমবার রাজ্যকে এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের অন্তর্বর্তী নির্দেশ, মামলা বিচারাধীন থাকাকালীন হেরিটেজ ভবনে কোনও কাজ করতে পারবে না রাজ্য। আগামী ১৮ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

আলিপুর সংশোধনাগার-সহ ওই এলাকাটিকে নতুন ভাবে গড়তে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। ‘আলিপুর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ নামে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় ‘হিডকো’কে। অভিযোগ ওঠে, ওই কাজের জন্য হেরিটেজ পরিকাঠামোর ক্ষতি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। সোমবার মামলার শুনানির সময় আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং শামিম আহমেদ সওয়াল করেন। তাঁরা জানান, আলিপুর সংশোধনাগার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রেসকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভবনটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর ফলে সেখানে হেরিটেজ চরিত্রের ক্ষতি হবে।

রাজ্য ওই দাবি মানতে নারাজ। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের সওয়াল, হেরিটেজ চরিত্র বদল হচ্ছে না। যা ছিল তাই থাকবে। এলাকাটির উন্নয়নের জন্য কয়েকটি জিনিসকে অন্যত্র সরানো হচ্ছে। রাজ্যের সেই ক্ষমতা রয়েছে। হেরিটেজ মর্যাদা সম্পন্ন যা থাকবে তা জাদুঘরে রাখা হবে। মামলাকারীর দাবি, ঐতিহ্যবাহী বেঙ্গল প্রেসকে সরিয়ে সরস্বতী প্রেসে রূপান্তর করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য। আর আলিপুর সংশোধনাগার যাচ্ছে বারুইপুরে। সোমবারের শুনানিতে এজি জানান, আগামী শুনানিতে এই প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা এবং সবিস্তার তথ্য আদালতের সামনে নিয়ে আসা হবে।

এই মামলায় আইনজীবী শামিমের যুক্তি, রাজ্য যে পরিকল্পনা নিয়েছে তাতে অনেক খোলা জায়গা ভরাট হয়ে যাবে। শহরে উন্মুক্ত পরিবেশের অভাব হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ব্যক্তি পিছু ১০ স্কোয়ার মিটার খোলা জায়গা রাখা প্রয়োজন। পরিসংখ্যান বলছে, কলকাতার খোলা জায়গার পরিমাণ ১০ শতাংশ থেকে কমে ৫ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। আর এই প্রকল্প হলে ওই এলাকায় খোলা জায়গার পরিমাণ আরও কমবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE