—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ নিয়ে রাজ্যের নীতি সম্পর্কে কার্যত প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। গত শুক্রবার শিবাজী নস্কর-সহ একদল শিক্ষকের মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওপেন স্কুলিং (এনআইওএস) থেকে একবার প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের পুনরায় প্রশিক্ষণের কী প্রয়োজন আছে, তা স্কুলশিক্ষা কমিশনারকে বিবেচনা করতে হবে এবং নির্দিষ্ট ভাবে সেই প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে আগামিকাল, বুধবার কোর্টে রিপোর্ট দিতে হবে।
আদালতে সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, আলি হাসান আলমগীর-সহ মামলাকারীদের আইনজীবীরা জানান যে তাঁদের মক্কেলরা এনআইওএস থেকে একবার দেড় বছরের প্রাথমিক শিক্ষকের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এ বার ফের তাঁদের ২ বছরের প্রাথমিক শিক্ষকের প্রশিক্ষণ নিতে বলা হচ্ছে। তার উপরে কোনও কোনও জেলা প্রাথমিক সংসদ ওই দেড় বছরের প্রশিক্ষণকে মান্যতা দিচ্ছে। আবার কোনও জেলা সংসদ সেই প্রশিক্ষণকে গ্রাহ্য করছে না। এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের কেন ফের প্রশিক্ষণ নিতে হবে? প্রশিক্ষণহীন অনেক শিক্ষক তো আছেন। প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের ফের প্রশিক্ষণে না পাঠিয়ে সংসদের উচিত প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকদের ট্রেনিংয়ে পাঠানো।
আদালতের খবর, গত শুক্রবারই প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত আরও কয়েকটি মামলা ছিল। তার মধ্যে আজিজুর রহমান-সহ এক দল শিক্ষকের আর্জি ছিল, তাঁদের উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর নেই। তাই তাঁরা ডিইএলএড কোর্সে ভর্তি হতে পারছেন না। বিচারপতি সিংহ হাই কোর্টেরই একটি রায় উল্লেখ করে বলেছেন যে মামলাকারীরা উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ না পেলেও ওই কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। আরও একটি মামলায় উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর না পাওয়া শিক্ষকদের পাশাপাশি কয়েক জন মাধ্যমিক পাশ শিক্ষকও ছিলেন। বিচারপতি অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি এ-ও বলেছেন যে যাঁরা (শিক্ষক) মাধ্যমিক পাশ যোগ্যতাতেই প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিযুক্ত হয়েছেন তাঁদের কেন প্রশিক্ষণের বাইরে রাখা হবে? আজ, মঙ্গলবার এই দু’টি মামলারই ফের শুনানি আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy