—নিজস্ব চিত্র।
যাদবপুরে যুবমোর্চার সভা থেকে ফেরার সময় তাঁর উপর ‘পূর্বপরিকল্পিত’ হামলা চালানো হয়েছে। চেষ্টা হয়েছে প্রাণে মারার। এই অভিযোগ তুলে যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার দাবি, হামলার ঘটনার নেপথ্যে যে সংগঠন রয়েছে, সেই ‘রেভলিউশনারি স্টুডেন্ট ফেডারেশন’ (আরএসএফ) একটি নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ৮বি বাসস্ট্যান্ডে যুব মোর্চার অবস্থানে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানে সভার পরে তাঁকে কালো পতাকা দেখানোর অভিযোগ ওঠে আরএসএফ-এর বিরুদ্ধে। কালো পতাকা দেখানো নিয়ে যুব মোর্চা এবং এবিভিপি কর্মী-সমর্থকদের হাতাহাতি হয়। কিছু ক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। অভিযোগ, সেই সময় শুভেন্দুর সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানেরা পড়ুয়াদের উপর চড়াও হন। ছাত্রদের লাথি মারতেও দেখা গিয়েছে এক জওয়ানকে। শুভেন্দুকে কালো পতাকা দেখানোর অভিযোগে পুলিশ দু’জনকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। পরে তাঁদের অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয় বলে খবর।
শুভেন্দুর অভিযোগ, বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে সভামঞ্চ ছাড়ার সময় তাঁর উপর হামলা চালান কয়েক জন। তাঁর গাড়িতে পাথরও ছোড়া হয়েছে। তাঁকে শারীরিক হেনস্থা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে বিরোধী দলনেতার দাবি, দুষ্কৃতীদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রও থাকতে পারত। তাই বাধ্য হয়েই নিরাপত্তায় থাকা জওয়ানেরা হস্তক্ষেপ করেছেন। তাঁকে নিরাপদে সেখান থেকে বার করে নিয়ে গিয়েছেন।
অন্য দিকে, আরএসএফ দাবি করেছে, হামলা চালিয়েছে বিজেপিই। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এপিডিআর-এর সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত শূরের অভিযোগ, শুভেন্দুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা আরএসএফ কর্মীদের মারধর করে। ওই ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ (যার সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি) এক্স হ্যান্ডেলে দিয়ে তৃণমূলের তরফেও ঘটনার সমালোচনা করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy