মলয় ঘটক। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে ইডির করা মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ১৮১ দিন পরে কেন শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে, শুক্রবার তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ।
মলয়কে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল ইডি। উচ্চ আদালত ওই আবেদন নাকচ করে দেয়। হাই কোর্ট জানায়, কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাই মলয়কেও কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করুক ইডি। উচ্চ আদালতের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল ইডি।
কয়লা পাচার মামলায় রক্ষাকবচ চেয়ে দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন মলয়। দিল্লির পরিবর্তে ইডির কলকাতা অফিসে তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করারও আবেদন জানান তিনি। ২০২৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লি হাই কোর্ট জানায়, মলয়কে তাদের কলকাতার অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি। হাজিরার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ২৪ ঘণ্টা আগে নোটিস পাঠাতে পারবে রাজ্যের আইনমন্ত্রীকে। একই সঙ্গে আদালত জানায়, ইডি অফিসারদের কাজে কোনও ভাবেই বাধা দেওয়া যাবে না। তাঁদের ক্ষতি হতে পারে, এমন কিছু যাতে না করা হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে হবে।
দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশের কিছু অংশের কারণে মলয় অন্যায্য সুবিধা পাচ্ছেন— এমনটা দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। কিন্তু বিলম্বের কারণে শুক্রবার ইডিকেই শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়।
২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর কয়লা পাচার মামলায় প্রথম বার মলয়কে তলব করে ইডি। তখন তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সমনে সাড়া দেননি। এর পরে তাঁকে পর পর সমন পাঠায় ইডি। উচ্চ আদালতে মলয় অভিযোগ করেছিলেন যে, ইডি হয়রানি করার জন্য একাধিক বার তলব করেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কলকাতায় অফিস থাকা সত্ত্বেও তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে দিল্লির অফিসে সমন করেছে বলে দাবি করেন মন্ত্রী। একই সঙ্গে মলয় এই আশঙ্কাও প্রকাশ করেন যে, ইডির দিল্লি অফিসে গেলে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করা হতে পারে। ইডি তাঁকে হুমকিও দিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy