শরীরচর্চার আগে ভারী কিছু খেতে বারণই করেন প্রশিক্ষকেরা। আবার খালি পেটে শরীরচর্চা করাও ঠিক নয়। এখনকার ছেলেমেয়েরা জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করতেই বেশি অভ্যস্ত। অনেক সময়েই দেখা যায়, হাতে এনার্জি ড্রিঙ্কের বোতল নিয়ে জিমে যাচ্ছেন কমবয়সি ছেলেমেয়েরা। এই ধরনের পানীয় দ্রুত শরীর তরতাজা করে দেয় ঠিকই, কিন্তু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও খুব বেশি। আবার গ্যাস-অম্বলের সমস্যা যাঁদের আছে, তাঁরা লেবুর জল খেয়ে শরীরচর্চা করতে গেলেও সমস্যায় পড়বেন। সে ক্ষেত্রে একটি খাবার খুবই নিরাপদ। সেটি নিয়ম করে শরীরচর্চা শুরুর আধ ঘণ্টা আগে খেলেই যেমন শক্তি বাড়বে, তেমনই বাড়তি ক্যালোরিও ঝরবে।
হয়তো ভাবছেন ছোলাসেদ্ধ বা বাদামের কথা বলা হচ্ছে, তা নয়। শরীরচর্চার আগে খাওয়া যায় এমন খাবার হল খেজুর। ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ’ থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, খেজুরে গ্লুকোজ়, ফ্রুক্টোজ় ও সুক্রোজ় থাকে যা শরীরে শক্তির জোগান দেয়, ক্লান্তি ভাব দূর করে।
আরও পড়ুন:
দিনভর স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেও, ব্যায়ামের আগে-পরে খাবারে প্রোটিন, শর্করা, ফ্যাট, ভিটামিন ঠিক মাত্রায় না থাকলে ক্ষতি হবে শরীরেরই। কারণ পেশির শক্তির ক্ষয় হবে, তাই এমন খাবার খেতে হবে যা শরীরের শক্তির জোগান দিতে পারে এবং ক্যালোরিও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী হল খেজুর। এতে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম, যা পেশির শক্তি জোগাবে, পেশিকে নমনীয় রাখবে। বাজারচলতি প্রোটিন শেকগুলি শরীরের জন্য ঠিক নয়। সেগুলিরও বিকল্প হতে পারে খেজুর।
ডেগলেট নূর নামে এক রকমের খেজুর রয়েছে যা খেলে মিষ্টি খাওয়ার ঝোঁকও কমবে, আবার শরীরে প্রয়োজনীয় ফাইবারও ঢুকবে। মেদ কমাতে খুবই উপযোগী এই খেজুর। মিষ্টি কম থাকায়, ডায়াবিটিসের রোগীরাও খেতে পারেন এই খেজুর। পাশাপাশি, শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমবে। শরীরচর্চার পরে যে ক্লান্তি ও ঝিমুনি ভাব আছে, তা দূর করতেও সাহায্য করবে খেজুর।