নবান্ন অভিযান আটকাতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
নবান্ন অভিযান আটকাতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। আগামী ২৭ অগস্ট, মঙ্গলবার একটি সংগঠনের তরফে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদে ওই কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে। কিন্তু রাজ্যের অভিযোগ, ওই কর্মসূচির জন্য পুলিশের কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। কর্মসূচি বাতিলের আবেদন জানিয়ে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্য। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। শুক্রবার এই মামলার শুনানি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, সমাজমাধ্যমে একটি সংগঠন আগামী মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে। ওই কর্মসূচিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি শামিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ-সহ আরজি কর-কাণ্ডে একাধিক দাবি নিয়ে অভিযানের আয়োজন চলছে। কিন্তু রাজ্যের প্রশ্ন, পুলিশের অনুমতি ছাড়া এই ধরনের কর্মসূচি কী ভাবে করা যেতে পারে? ওই সংগঠন নবান্ন অভিযানের পোস্টার সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ। যার মাধ্যমে অনেকে প্রভাবিত হচ্ছেন।
রাজ্য আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, নবান্ন অভিযানের এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। রাজ্যের আবেদন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য অনুমতি ছাড়া ওই কর্মসূচি বাতিল করা হোক। শুক্রবার এই মামলাটি শোনা হতে পারে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানিতে নবান্ন অভিযানের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, আইন নিজের পথে চলবে। কিন্তু শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে কোনও ভাবেই বাধা দেওয়া যাবে না। যাঁরা প্রতিবাদ করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। এর পরেই কর্মসূচি বন্ধ করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য।
আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের পর প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। সাধারণ মানুষও পথে নেমেছেন। গত ১৪ অগস্ট মহিলাদের ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে অশান্তি হয়েছিল। ওই কর্মসূচির সুযোগ নিয়ে আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এক দল দুষ্কৃতী হামলা চালিয়েছিল। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। সমালোচিত হয়েছে কলকাতা পুলিশের ভূমিকাও। আগামী দিনে তেমন পরিস্থিতি আর চাইছে না রাজ্য। তাই আগেভাগে আদালতে মামলা করা হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy