রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। ফাইল চিত্র।
কোন কোন বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা গিয়েছে, তার হিসাব চাইল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শনিবার পঞ্চায়েত ভোট প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা গড়িয়ে যাওয়ার পর এই হিসাব চেয়ে চিঠি গিয়েছে রাজ্যের জেলা শাসকদের কাছে। কমিশন তাঁদের দু’ভাগে ওই বুথের তালিকা পাঠাতে বলেছে। যে সমস্ত বুথ স্পর্শকাতর নয় এবং যে সব বুথ স্পর্শকাতর, তার পৃথক তালিকা তৈরি করে পাঠাতে বলা হয়েছে কমিশনের কাছে। কিন্তু এই হিসাব চাইতে কমিশনের প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা সময় কেন লাগল, তা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা।
শনিবার সকাল ৭টা থেকেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। আর সকাল থেকেই জেলায় জেলায় হিংসার অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। গুলি সংঘর্ষ, বোমাবাজি, ব্যালট বাক্স লুট, ব্যালট পেপারে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। সাড়ে এগারোটা নাগাদ জেলাশাসকদের কাছে গিয়েছে কমিশনের নির্দেশ। রাজ্য নির্বাচন কমিশন তাঁদের বলেছে, ‘‘আমরা জানি আপনারা অত্যন্ত ব্যস্ত। জেলায় জেলায় গুলি সংঘর্ষ এবং সেই সংক্রান্ত অভিযোগ সামলাচ্ছেন। তা সত্ত্বেও আপনাদের একটু সময় নিচ্ছি। আমাদের এখনই একটা তথ্য দরকার। সমস্ত জেলার কোন কোন বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, তার একটা হিসাব আমাদের দরকার। দয়া করে তার একটা তালিকা আমাদের পাঠান।’’ তবে এই তালিকার বুথগুলিকে স্পর্শকাতর এবং স্পর্শকাতর নয়, এই দু’ভাগে ভাগ করে পাঠাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে বুথ পিছু কত জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন রয়েছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব দেওয়ার দরকার নেই।
শনিবার পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৬৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছেছে বলে আগেই জানিয়েছিল কমিশন। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তার জন্য কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী চাওয়া হয়েছিল ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ফলে অঙ্কের হিসাবেই রাজ্যের সমস্ত ভোট কেন্দ্রে প্রস্তাবিত হাফ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া সম্ভব হয়নি। যদিও রাজ্য যে সশস্ত্র পুলিশ দেবে বলে জানিয়েছিল, তা হিসাব মেনেই মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, বিভিন্ন জেলায় ভোটকেন্দ্রে অশান্তি চলাকালীন সশস্ত্র পুলিশকর্মীদের নীরব দর্শকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে।
রাজ্যে যখন ভোটের এই পরিস্থিতি, তখন শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সকাল ১১টা নাগাদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে কী ভাবে? কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কোঅর্ডিনেটরদের মাধ্যমে এই পরিসংখ্যান জানতে চাওয়া হয়েছে কমিশনের থেকে। এর পরই জেলাশাসকদের কাছ থেকে এই তথ্য এবং নথি চেয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করে কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy