ফাইল চিত্র।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ মামলায় সিবিআই অনুসন্ধান হবে না। বদলে গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছিল কি না বা হলে কী ভাবে হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখবে বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। একই সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতিকে মাথায় রেখে বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল গড়ে এই মামলার অনুসন্ধান করতে হবে।
এসএসসি-র গ্রুপ ডি নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ নিয়ে এর আগে সিবিআইকে অনুসন্ধানেক দায়িত্ব দিয়েছিল হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। রাজ্য সরকার সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে পাল্টা আবেদন করে। সোমবার তারই শুনানি ছিল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানিতে একক বেঞ্চের রায় খারিজ করে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, গ্ৰুপ-ডি নিয়োগ মামলার অনুসন্ধান করবে বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল ল। প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে ওই দলে থাকবেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের আশুতোষ ঘোষ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সহ-সচিব( প্রশাসন) পারমিতা রায় এবং হাই কোর্টের আইনজীবী অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন সদস্যের এই অনুসন্ধানকারী দল গঠন করে আদালত জানিয়েছে, দলের সমস্ত ব্যয়ভার বহন করবে রাজ্য। একই সঙ্গে দু’মাসের মধ্যে অনুসন্ধানের কাজ শেষ করতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে হাই কোর্ট।
২০১৯ সালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও প্রচুর নিয়োগ হয়েছে বলে মামলা দায়ের হয় আদালতে। প্রাথমিক ভাবে ওই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল কমিশনের বিরুদ্ধে। কিন্তু পরে কমিশন আদালতে জানায়, ওই নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও সুপারিশ তারা করেনি। এরপর অভিতেই জড়িয়ে পড়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নাম। আদালতে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেন পর্ষদের আইনজীবীও। তিনি জানান, পর্ষদ নিজে থেকে কোনও নিয়োগ করেনি। কমিশনের সুপারিশ মেনেই হয়েছে যাবতীয় নিয়োগ। এরপরই একক বেঞ্চ সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়। বিচারপতি অভিজিৎ জানান, স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের হলফনামা অনুসারে এটা স্পষ্ট যে, নিয়োগ অস্বচ্ছ ভাবে হয়েছে এবং এর পিছনে আর্থিক বিষয়ও জড়িত। যে হেতু দু’টি সংস্থাই রাজ্যের তাই এই মামলার অনুসন্ধান করবে সিবিআই। তবে সিবিআই অনুসন্ধান করলেও কাউকে গ্রেফতার করবে না বলে জানিয়েছিল একক বেঞ্চ। রাজ্য সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে পাল্টা আবেদন করে। সোমবার রাজ্যের মামলাটিরই শুনানি ছিল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই পুরনো রায় খারিজ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy