তৃতীয় শ্রেণির কর্মী নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ। ফাইল ছবি।
এসএসসি-র গ্রুপ ডি-এর পর এ বার গ্রুপ সি। ৪০০ গ্রুপ সি কর্মীর ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগ। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মামলাকারীর কাছে ‘ভুয়ো’ নিয়োগের সমস্ত নথি হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মধ্য শিক্ষা পর্ষদকেও মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। সেই সঙ্গে অস্বচ্ছ উপায়ে নিয়োগপত্র পেয়েছেন, এমন একজনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এরই মধ্যে অভিযোগ উঠল, অন্তত ৪০০ জন তৃতীয় শ্রেণির কর্মীকেও নিয়োগও দুর্নীতি হয়েছে। এ নিয়ে মামলা হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলারই শুনানি। এ দিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ মামলাকারীর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্তকে অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছে। ভুয়ো নিয়োগপত্র-সহ অভিযুক্ত তৃতীয় শ্রেণির কর্মীদের বিস্তারিত নথি জমা দিতে হবে হলফনামার সঙ্গে। শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
এর আগে অনেকটা একই ধরনের মামলা হয়েছিল হাই কোর্টে। তবে সে বার অভিযোগ ছিল, গ্রুপ ডি অস্বচ্ছ কর্মী নিয়োগ হয়েছে। তার ভিত্তিতে ৫৪২ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। পাশাপাশি সিবিআই তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। সেই মামলার রেশ মিটতে না মিটতেই এ বার দুর্নীতির অভিযোগ উঠল, তৃতীয় শ্রেণির কর্মী নিয়োগে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy