—ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা পাঁচটি ছবি সিবিআইয়ের কাছে জমা দিলেন প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা। ছবিগুলি তিনি বছর আটেক আগে হওয়া প্রদর্শনী থেকে কিনেছিলেন। বৃহস্পতিবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন তিনি। সিবিআই সূত্রের খবর, কী ভাবে সারদা ও রোজ ভ্যালির টাকা তিনি পেয়েছিলেন, তা নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মোহতার সঙ্গে তাঁর আইনজীবীরাও ছিলেন। সিবিআই তাঁকে গত মাসেও ডেকে জেরা করেছে। এর পর বার দুয়েক ডাকা হলেও অসুস্থ থাকার কথা বলে তিনি হাজিরা দেননি।
সিবিআই সূত্রের দাবি, এ দিন শ্রীকান্ত জানান, তিনিও মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবি কিনেছিলেন। সেই ছবি সিবিআই হেফাজতে নিতে চাইলে ‘টালবাহানা’ শুরু করেন তিনি। ছবি না দিলে ‘কড়া ব্যবস্থার’ আঁচ পেয়ে সেগুলি সিবিআই দফতরে নিয়ে এসে জমা দেন মোহতা। এর পর সিবিআই তাঁকে আরও একটি প্রশ্নমালা দিয়ে ছেড়ে দেয়। সারদা-রোজ ভ্যালির টাকা নিয়ে তিনি কী করেছিলেন, কলকাতা বন্দরের জমি দখল করে স্টুডিও বানানোর অভিযোগ, টালিগঞ্জের বিভিন্ন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার টাকা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ, পুলিশ, প্রশাসন ও সরকারের প্রভাবশালীদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বিষয়ক নানা অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করেছে সিবিআই। দ্রুত তাঁকে তার জবাব দিতে বলা হয়।
কেন বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার তদন্তে তাঁকে ডাকা হল? সিবিআইয়ের দাবি, সারদার থেকে টালিগঞ্জের অন্তত জনা ২৫ অভিনেতা-অভিনেত্রীর নামে টাকা নিয়েছিলেন শ্রীকান্ত। তার কিছু ‘প্রমাণ’ তদন্তকারী সংস্থার হাতে রয়েছে। সিবিআইয়ের মতে, সেই টাকার কোনও অংশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কেনা হয়েছিল কি না তা যাচাই করা জরুরি।
পাশাপাশি রোজ ভ্যালির মালিক গৌতম কুন্ডু সিবিআইকে জানিয়েছেন, শ্রীকান্ত তাঁর কাছ থেকে ২৪ কোটি টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকার বিনিময়ে মাত্র ৭০ টি চলচ্চিত্র রোজ ভ্যালির চ্যানেলে দেখানোর জন্য দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে মামলা হয়, আদালত নির্দেশ দিলেও শ্রীকান্ত সেই টাকা ফেরত দেননি। সিবিআইয়ের বক্তব্য, আমানতকারীদের টাকাই গৌতম ওই প্রযোজককে দিয়েছিলেন। ফলে সেই টাকা উদ্ধারও জরুরি।
যদিও এ দিনের জি়জ্ঞাসাবাদ নিয়ে শ্রীকান্তকে ফোন এবং এসএমএস করা হলে তিনি কোনও জবাব দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy