সুজাতা মণ্ডল খাঁ এবং সৌমিত্র খাঁ। ফাইল চিত্র।
সৌমিত্র-অধ্যায় ভুলে নতুন জীবনে কি পা দিতে চলেছেন সুজাতা মণ্ডল খাঁ? সরাসরি না বললেও তিনি যে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন, তা জানিয়েছেন সুজাতা। একই সঙ্গে তিনি বলেন, জীবনের যে কোনও শুভ খবর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন। তিনি যে নতুন জীবনে প্রবেশ করতে চলেছেন, এ নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে তাঁর কথাতেই।
এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে সুজাতা বলেন, “আগামী জীবনের পথ কী হবে, সেটা তো কেউ বলতে পারে না। নতুন জীবনের পথ কী ভাবে সাজাব, সেটা সবার আগে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ভাগ করে নেব।”
সুজাতা আরও বলেন, “বিয়ে, মেলবন্ধন বা ডিভোর্স জীবনের অঙ্গ। কখন কোন পরিস্থিতিতে কী হবে, কী হবে না সেটা কেউ বলতে পারে না। এটাই বলতে চাই, তাঁর অমঙ্গল কোনও দিন কামনা করিনি, করবও না। আমি অশ্লীল কথা বলার বিরোধী। এটা আমার পারিবারিক শিক্ষার রুচি।” তা হলে কি এখন কোনও শুভ খবর নেই? এ প্রসঙ্গে সহাস্যে সুজাতার জবাব, “আমি সেটাও বলছি না। সময়ে সবটাই প্রকাশ পাবে।”
বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র সঙ্গে সুজাতার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। সুজাতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর ‘অন ক্যামেরা’ ডিভোর্স দিয়েছিলেন সৌমিত্র। যদিও সুজাতা তাঁকে চিঠি দিয়ে পরে জানিয়েছিলেন যে, তিনি ডিভোর্স দিতে চান না। অতীতের প্রসঙ্গ তুলে সুজাতা বলেছিলেন, “গত ১০ বছরে এক সঙ্গে বহু চড়াই-উতরাই আমরা পেরিয়েছি। সব পরিস্থিতিতে ওর পাশে থেকেছি। কিন্তু তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই সৌমিত্র আমাকে পর করে দিল। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতেই পারে। তাই বলে কি সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে?”
প্রসঙ্গত, গত ২১ ডিসেম্বর আচমকাই বিজেপি ছেড়ে সৌগত রায় ও কুণাল ঘোষের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন সুজাতা। সে দিনই নিজের সল্টলেকের বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন সৌমিত্র। ওই দিন সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন কান্নায় ভেঙেও পড়তে দেখা যায় বিজেপি বিষ্ণুপুরের সাংসদকে।
ঘটনাচক্রে, শনিবারই সৌমিত্রের একটি অডিয়ো সংবাদমাধ্যমের হাতে আসে। সেই অডিও ক্লিপের সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। এই অডিয়োয় শোনা গিয়েছে, বক্তা বলছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে ৩টি আসন পাবে বিজেপি। শুধু তাই নয়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে খাতাই খুলতে পারবে না পদ্ম শিবির! এমনকি ৫০ হাজার ভোটে হারবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক! দাবি করা হচ্ছে এই কণ্ঠ সৌমিত্রের। যদিও সৌমিত্রের পাল্টা দাবি, এই গলা তাঁর নয়। পদ্মশিবিরের অন্দরেও এ নিয়ে বিবাদ তুঙ্গে।
এই প্রসঙ্গে সুজাতা বলেন, ‘‘ভাইরাল অডিয়ো নিয়ে আমি ততটা আগ্রহী নই। তবে বিজেপি-র অন্দরে যে গোলমাল হচ্ছে, সেটা তো সবাই টের পাচ্ছেন। আসলে ওঁরা সকলেই অযোগ্য। কিছু দিন আগেই তো তথাগত রায় বলেছিলেন, বিজেপি নেতারা ‘কামিনী কাঞ্চন’ নিয়ে এতটা মেতেছিলেন যে, দলকে ক্ষমতায় আনা তাঁদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy