(বাঁ দিকে) লেসলি ক্লডিয়াসের মূর্তি। (ডান দিকে) উন্মোচন করলেন লিয়েন্ডার পেজ়। —নিজস্ব চিত্র।
কলকাতার বুকে লেসলি ক্লডিয়াসের আরও একটি মূর্তি। কাস্টমস তাঁবুতে রবিবার ভারতের প্রাক্তন হকি খেলোয়াড়ের মূর্তি উন্মোচন হল। লিয়েন্ডার পেজ়ের হাতেই সেই মূর্তি উন্মোচন হল। প্রাক্তন টেনিস খেলোয়াড় জানালেন কী ভাবে তাঁর জীবনে প্রভাব রেখে গিয়েছেন ক্লডিয়াস। লেসলি ক্লডিয়াস মেমোরিয়াল কমিটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
ভারতের ক্রীড়াক্ষেত্রে অন্যতম বড় নাম ক্লডিয়াস। এক সময় ফুটবল খেলতেন তিনি। হঠাৎ করেই হাতে তুলে নিয়েছিলেন হকি স্টিক। বাকিটা ইতিহাস। তিনটি অলিম্পিক্সে (১৯৪৮, ১৯৫২ এবং ১৯৫৬) ভারতকে সোনা জিতিয়েছিলেন ক্লডিয়াস। বাংলা, নাগপুর রেলওয়েজ় এবং কাস্টমসের হয়ে খেলা সেই হকি খেলোয়াড়ের মূর্তি উন্মোচন করেন লিয়েন্ডার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বাবা ভেস পেজ়। যিনি নিজেও ভারতের হয়ে হকি খেলেছেন। উপস্থিত ছিল ক্লডিয়াসের পরিবারও।
লিয়েন্ডার নিজে অলিম্পিক্স পদক জিতেছেন। ১৯৯৬ সালে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন তিনি। সেই লিয়েন্ডার বললেন, “আমার নায়ক ক্লডিয়াস। আমি তাঁকে আঙ্কেল লেস বলে ডাকতাম। বড় মনের মানুষ ছিলেন তিনি। সেটা ভারত এবং কাস্টমসের হয়ে খেলার সময় মাঠের মধ্যে যেমন দেখা গিয়েছে, তেমনই মাঠের বাইরে। ছোটদের অনুপ্রেরণা দিতেন খেলাধুলা করার জন্য। বাবার সঙ্গে মোহনবাগান মাঠে খেলা দেখতে আসতাম। সেই সময় তাঁর মতো বড় খেলোয়াড়কে খেলতে দেখেছি। যে মূর্তি এখানে তৈরি করা হয়েছে সেটি খুবই জীবন্ত। চোখ, চুল, হাসি সবই খুব জীবন্ত।”
ক্লডিয়াস কী ভাবে তাঁর জীবনে প্রভাব রেখেছেন, তা বলতে গিয়ে চোখে জল দেখা যায় লিয়েন্ডারের। যে ভাবে ক্লডিয়াস তাঁকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন, সেই ভাবেই এখন অনেকের অনুপ্রেরণা লিয়েন্ডার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy