সাংবাদিক বৈঠকে জেলাশাসক পি উলগানাথন। সামনে, অনলাইনে অর্ডার করলে মিলবে এমনই প্রসাদ-সহ গঙ্গাজল।
কোভিড পরিস্থিতিতে ঘরে বসেই সারা যাবে গঙ্গাসাগরে মকর সংক্রান্তির স্নান এবং মন্দির দর্শন। এমনই উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
হাতে গোনা আর কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। তার পরই এসে পড়বে মকরসংক্রান্তির মাহেন্দ্রক্ষণ। প্রতি বছর এই তিথিতে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমান সাগরদ্বীপে, কপিলমুনির আশ্রমে। কিন্তু এ বার পরিস্থিতি আলাদা। করোনার কথা মাথায় রেখে তাই বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। মেলা থেকে মন্দির দর্শন— সব কিছুতেই ভার্চুয়াল মাধ্যমকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার আলিপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে সাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন জেলাশাসক পি উলগানাথন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, অতিমারি কারণেই ‘ই-দর্শন’ এবং ‘ই-স্নান’-এর উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অনলাইনে অর্ডার করলে ৩ দিনের মধ্যে বাড়িতে পৌঁছে যাবে গঙ্গাজল, প্রসাদ, ফুল-সহ বিভিন্ন সামগ্রী। তা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি ক্যুরিয়র সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে ‘অতিথি পথ’ নামে একটি অ্যাপ। যার মাধ্যমে ‘ই-দর্শন’-এর পাশাপাশি মিলবে প্রসাদও। ট্রেন, বাস, ভেসেলের সময়সূচি, সাগর মেলা সম্পর্কিত নানা তথ্য এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার তথ্যও পাওয়া যাবে এই অ্যাপে। শুধু অ্যাপই নয় প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন পোর্টাল, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামেও সরাসরি পুজো এবং স্নান সম্প্রচার করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের পাল্টা সভা কাঁথিতে, ঘরের মাঠে আজ শুভেন্দুর অগ্নিপরীক্ষা
আরও পড়ুন: অধীরকে জোটের ‘মুখ্যমন্ত্রী মুখ’ করার দাবি, আসরে কংগ্রেসের একাংশ
‘পিলগ্রিম ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ নামে ডাটাবেস তৈরি। তা ব্যবহার করে যাত্রাপথে জানা যাবে পুলিশ-প্রশাসন, বাস এবং ভেসেলের সঠিক অবস্থান, যাত্রীর সংখ্যা এবং চালকের ফোন নম্বর। এর মাধ্যমে যাত্রীদের ভিড়ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে প্রশাসন।
কোভিড সংক্রমণ এড়াতে মেলার প্রত্যেকটি প্রবেশ পথ এবং যাত্রাপথের ঘাটগুলিতে বসানো হবে স্যানিটাইজার টানেল। মেলায় প্রবেশের আগে রয়েছে প্রত্যেক যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থাও। কোনও ব্যক্তির দেহের তাপমাত্রা বেশি থাকলে ‘অ্যান্টিজেন টেস্ট’ করানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। প্রয়োজনে ‘আরটিপিসিআর টেস্ট’-ও করানো হতে পারে। এ ছাড়াও থাকছে সেফ হোম এবং হাসপাতালের বন্দোবস্তও।
অতিরিক্ত জেলা শাসক এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতিও উপস্থিত ছিলেন। এদিন সাগর স্নান এবং রুট ম্যাপ সংক্রান্ত দুটি স্পল্প দৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রও প্রকাশ করা হয়। জেলাশাসকের মতে, ‘‘কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে মেলার আয়োজন করা এ বার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই ই-স্নানের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সব ধরনের ব্যবস্থাও তৈরি করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy