Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

লড়াই থামল, সোমনাথের শেষযাত্রা লাল পতাকা ছাড়াই

জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে টানা হাসপাতালেই ছিলেন ১০ বারের প্রাক্তন সাংসদ। মাঝে কয়েক দিনের জন্য বাড়ি গেলেও ফের হাসপাতালে ফিরে তাঁর প্রবল লড়াই থেমে যায় এ দিন সকালে।

বিদায়: বহিষ্কৃত ‘কমরেড’ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির মানব মুখোপাধ্যায়, বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তী, সীতারাম ইয়েচুরি, রবীন দেব প্রমুখ সিপিএম নেতা। সোমবার সোমনাথবাবুর বাড়িতে। নিজস্ব চিত্র

বিদায়: বহিষ্কৃত ‘কমরেড’ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির মানব মুখোপাধ্যায়, বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তী, সীতারাম ইয়েচুরি, রবীন দেব প্রমুখ সিপিএম নেতা। সোমবার সোমনাথবাবুর বাড়িতে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৮ ০৩:৫৩
Share: Save:

অসুস্থ ছিলেন বেশ কিছু দিন। শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি হয়েছিল রবিবার সকাল থেকে। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে সোমবার সকালে প্রয়াত হলেন লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। বয়স হয়েছিল ৮৯। রাজ্য সরকারের তরফে বিধানসভায় গান স্যালুট দেওয়ার পরে সোমনাথবাবুর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর দেহ দান করা হয়েছে। পারিবারিক আপত্তিতে মরদেহ তাঁর পুরনো দল সিপিএমের রাজ্য দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়নি। মরদেহে লাল পতাকাওে দেওয়া হয়নি একই কারণে।

জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে টানা হাসপাতালেই ছিলেন ১০ বারের প্রাক্তন সাংসদ। মাঝে কয়েক দিনের জন্য বাড়ি গেলেও ফের হাসপাতালে ফিরে তাঁর প্রবল লড়াই থেমে যায় এ দিন সকালে।

পুরনো রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও সোমনাথবাবুর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন স্পিকারের শেষ যাত্রার সব রকম ব্যবস্থা রাজ্য সরকার করবে বলে পরিবারের লোকজনকে আশ্বাস দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যের প্রশংসা করেছেন সোমনাথ-কন্যা অনুশীলা বসুও। পক্ষান্তরে সোমনাথবাবুর আইনজীবী-পুত্র প্রতাপ চট্টোপাধ্যায় রাজা বসন্ত রায় রোডের বাড়িতে বাবার মরদেহ থাকাকালীন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে বেরিয়ে যেতে বলেছেন। যা নিয়ে সোমনাথবাবুর মতো জাতীয় স্তরে সমাদৃত সাংসদের শেষ যাত্রায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

দেখুন ভিডিয়ো

আরও পড়ুন: ‘শিল্পমহলকে আস্থা জোগাতে তিনিই ছিলেন যোগ্য অ্যাম্বাসাডর’

আরও পড়ুন: শেষ হল সোমনাথের যাত্রা, দেহদান হল এসএসকেএমে

হাইকোর্টে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হলেও অনেকে সেখানে সময়ে পৌঁছতেই পারেননি। এর পরে বিধানসভা ঘুরে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বাড়িতে। সোমনাথবাবুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাড়িতে এসেছিলেন লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন এবং দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া ও বাবুল সুপ্রিয়। চেন্নাই থেকে এসেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, ডিএমকে-র টি আর বালু ও ইলোঙ্গভান। ছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও। যেখানে যেমন আপত্তি বা জটিলতাই থাক, বাড়ি থেকে ‘সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় রেড স্যালুট’ ধ্বনি দিয়েই এসএসকেএমের দিকে রওনা হয়ে যায় মরদেহ।

আরও পড়ুন: শেষ যাত্রায় সঙ্গী মোহনবাগান পতাকা

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE