Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

শিক্ষক কম, এমফিল মার খাচ্ছে যাদবপুরে

কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষকের অভাবে নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি। পর্যাপ্ত শিক্ষক না-থাকায় মাসুল দিতে হচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কেও। তাদের অবস্থা এমনই দাঁড়িয়েছে যে, সেখানে কোনও কোনও বিষয়ে পঠনপাঠন থমকে যেতে বসেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:২০
Share: Save:

কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষকের অভাবে নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি। পর্যাপ্ত শিক্ষক না-থাকায় মাসুল দিতে হচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কেও। তাদের অবস্থা এমনই দাঁড়িয়েছে যে, সেখানে কোনও কোনও বিষয়ে পঠনপাঠন থমকে যেতে বসেছে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, গবেষণা ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর নতুন বিধির জেরে ওই প্রতিষ্ঠানের স্কুল অব উইমেনস স্টাডিজে এমফিলের পঠনপাঠন নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে আসন্ন শিক্ষাবর্ষে ওই বিষয়ে এমফিল পাঠ্যক্রমে পড়ুয়া ভর্তির কাজই বন্ধ রাখতে হতে পারে।

ইউজিসি-র নতুন নিয়ম অনুযায়ী এক জন অধ্যাপকের অধীনে সর্বাধিক তিন জন এমফিল ছাত্র থাকতে পারেন। অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা দুই। অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরেরা পারেন এক জনকে গাইড করতে। কিন্তু উইমেনস স্টাডিজে এখন রয়েছেন এক জন প্রফেসর, এক জন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং এক জন অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর। প্রতি বছর এমফিলের জন্য ভর্তি নেওয়া হয় ১৮ জনকে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন ছাত্র ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।

‘‘এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হলে সেটা খুবই দুঃখের হবে। কিন্তু ইউজিসি আমাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তাদের নির্দেশও আমাদের মানতে হবে,’’ বলছেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।

এই বিষয়ে ফোন এবং এসএমএস করেও স্কুল অব উইমেনস স্টাডিজের অধিকর্ত্রী শমিতা সেনের বক্তব্য জানা যায়নি। উইমেনস স্টাডিজেই সমস্যাটা শেষ হচ্ছে না। যাদবপুরের শিক্ষকমহলের একাংশের বক্তব্য, এই বিশ্ববিদ্যালয় যে-ভাবে শিক্ষকহীনতায় ভুগছে, তাতে যে-সব বিভাগে স্থায়ী শিক্ষক কম, ভবিষ্যতে একই পরিস্থিতির মুখে পড়বে তারাও। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি জুটা-র সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জনা গুপ্ত বলেন, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই ইউজিসি-র এই বিধির বিরোধিতা করে আসছি।’’ তাঁর বক্তব্য, যে-হেতু উইমেনস স্টাডিজে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকারা পড়ান, তাই এমফিল পড়ুয়াদের গাইড হিসেবে সেই সব শিক্ষক-শিক্ষিকার কথা কর্তৃপক্ষ ভাবতে পারেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE