সংশোধিত ওয়াকফ আইন বিরোধী আন্দোলনে সোমবার অবরুদ্ধ হল কোচবিহার শহর। সংখ্যালঘু সংগঠন ‘ইউনাইটেড মিল্লাত মঞ্চ’-এর তরফে এ দিন কোচবিহার রাসমেলার মাঠে সভার ডাক দেওয়া হয়। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা কোচবিহার শহরে ঢুকতে শুরু করেন। যার জেরে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ শহরের একাধিক রাস্তায় যানজট শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আন্দোলনকারীদের ভিড়ে ফাঁসির ঘাটের বাঁশের সেতু ভেঙে পড়ে। সূত্রের দাবি, সভার দিকে যাওয়া মিছিলের একটি অংশ থেকে তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়। তবে সভা ঘিরে কোনও অশান্তি হয়নি।
সূত্রের খবর, ওয়াকফ বিল নিয়ে ভোটাভুটির দিন সংসদে হাজির ছিলেন না জগদীশ। তা নিয়ে এ দিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন মিছিলে হাজির একাংশ। ‘ইউনাইটেড মিল্লাত মঞ্চ’-এর সাধারণ সম্পাদক আমিনাল হক অবশ্য বলেন, ‘‘সাংসদের বিরুদ্ধে স্লোগান আমরা সমর্থন করি না। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই আমাদের আন্দোলন।’’
এ দিন বহু চেষ্টাতেও জগদীশের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে সাংসদের ‘ঘনিষ্ঠদের’ দাবি, ৩১ মার্চ তিনি ইদের ছুটিতে দিল্লি থেকে বাড়িতে ফেরেন। ১ এপ্রিল দলের তরফে সংসদে হাজির থাকার জন্য বার্তা পান। কিন্তু ওই অল্প সময়ের মধ্যে তিনি বিমানের টিকিট না পাওয়ায় দিল্লিতে যেতে পারেননি। তবে সাংসদ ওই আইনের বিরোধী।
কোচবিহারে ওয়াকফ বোর্ডের কোনও সদস্য নেই। জেলায় প্রায় ৭০ একর ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। তুফানগঞ্জে ওয়াকফের সম্পত্তির একটি অংশ দখল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। রাসমেলার মাঠে এ দিন ওই সভায় ছিলেন তৃণমূল নেতা তথা কোচবিহার জেলা পরিষদের-সহ সভাধিপতি আব্দুল জলিল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘‘সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে আমাদের দল। আমাদের সাংসদও এই আইনের বিরোধী। তিনি কোনও কারণে ওই দিন সংসদে উপস্থিত থাকতে পারেননি। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)