জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হলেন নদিয়ার তেহট্টের বাসিন্দা, ভারতীয় সেনার প্যারাকমান্ডো ঝন্টু আলি শেখ। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে জঙ্গি দমন অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। জম্মুর উধমপুরে জঙ্গিদের আশ্রয় নেওয়ার খবর পেয়েই বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে অভিযানে গিয়েছিল সেনা এবং পুলিশের যৌথবাহিনী। সেই দলেই ছিলেন ঝন্টু।
সেনা সূত্রের খবর, বসন্তগড় এলাকায় জঙ্গিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি (সামরিক পরিভাষায়, ‘সার্চ অ্যান্ড কুম্বিং অপারেশন’ বা ক্যাসো) চালানোর সময় বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে হাবিলদার ঝন্টু আহত হন। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পেয়েই বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত সেনা কমান্ডোর পরিবারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, হাবিলদার ঝন্টু জম্মুর নাগ্রোটা-স্থিত ১৬ নম্বর কোরের কমান্ডো ছিলেন। ‘হোয়াইট নাইট কোর’ হিসাবে এই বাহিনী পরিচিত।
আরও পড়ুন:
ভারতীয় সেনার ৬ প্যারা এসএফ-এ কর্মরত ঝন্টু জঙ্গল-যুদ্ধে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো ছিলেন। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র এক্স পোস্টে জানিয়েছেন, নিহত সেনানীর বাড়ি কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তেহট্ট থানার পাথরঘাটা গ্রামে)। মঙ্গলবার কাশ্মীরে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছিলেন। হামলাকারীদের সন্ধানে সে দিন বিকেল থেকেই আশপাশের পাহাড়, জঙ্গল ঘিরে চিরুনি তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সেনা, রাষ্ট্রীয় রাইফেল্স, সিআরপিএফের যৌথবাহিনী। সেই অভিযান চলাকালীনই বৃহস্পতিবার নিহত হলেন প্যারাকমান্ডো ঝন্টু। পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-এ-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)-এর জঙ্গিদের খোঁজে বসন্তগড়ের জঙ্গলে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে সেনা।