‘আবির গুলাল’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে ফেরার সম্ভাবনা ছিল ফওয়াদ খানের। পাকিস্তানি অভিনেতার ভারতে প্রত্যাবর্তন নিয়ে চাপা অসন্তোষ ছিলই ভারতীয় রাজনৈতিক মহলে, এমনকি বলিউডেও। সেই অসন্তোষে ঘি ঢেলেছে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গিহানা। কাশ্মীরে রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাসবাদী হামলা নিয়ে সারা দেশ মুখর। সমাজমাধ্যমে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বলিউডের তাবড় তারকা। এই ঘটনার পর ফের পাকিস্তানি শিল্পীদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি তুলেছেন একাংশ। এ বার যেন তাতেই সম্মতি দিল ভারত সরকারের তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক।
আরও পড়ুন:
মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে হত্যালীলার পর এই ছবিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলা হয়। এমনকি ছবির অভিনেত্রী বাণী কপূরকে বয়কট করার দাবি তোলেন এক পক্ষ। যদিও এই ঘটনার পর সমাজমাধ্যমে ফওয়াদ লেখেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া এই জঘন্য ঘটনার খবর পেয়ে ভারাক্রান্ত। প্রার্থনা করি নিহতদের পরিবারের জন্যে। আমরা নিহতদের পরিবারের পাশে আছি। তাঁরা যেন এই কঠিন পরিস্থিতিতে যুঝে নেওয়ার শক্তি পান।’’ যদিও তাতে বিশেষ কিছু লাভ হয়নি। এ বার ফওয়াদের ‘আবির গুলাল’ ছবিকে নিষিদ্ধ করা হল ভারতে। এই ছবির মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক, এমনটাই গুঞ্জন।
বলিউডে ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবিতে শেষ বার অভিনয় করেছিলেন ফওয়াদ। ভারতে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যাও অনেক। কিন্তু ২০১৬ সালে উরির সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি হয় পাক শিল্পীদের উপর। তার পর থেকে আর বলিউডের ছবিতে কাজ করেননি ফওয়াদ। অবশেষে কূটনৈতিক জট কাটিয়ে বাণীর সঙ্গে ‘আবির গুলাল’ ছবিতে জুটি বাঁধেন তিনি। কিন্তু সেই ছবি মুক্তির সম্ভাবনাও আর রইল না।