Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Sishu Sansad

ভোল পাল্টাচ্ছে স্কুলের! পড়ুয়াদের দায়িত্ব বাড়াতে ‘শিশু সংসদ’, কী কাজ হবে ‘সাংসদদের’

শিক্ষা সংসদের পাশাপাশি স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য আরও একগুচ্ছ কর্মসূচির কথা বলা হয়েছে। প্রত্যেক শনিবার শেষ ক্লাসে ‘আনন্দ পরিসরে’র আয়োজন করা হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২২ ১৬:৪৫
Share: Save:

কলেজের ছাত্র সংসদের মতো এ বার স্কুলে শিশু সংসদ তৈরি করা হবে। যেখানে খাদ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মতো পদে থাকবে স্কুল পড়ুয়ারা। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে নেতৃত্বদানের ক্ষমতা বাড়াতে এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এমনটাই জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

শিশু সংসদ আদতে কী? পর্ষদের গাইডলাইন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এটা হল আসলে শিশুদের পার্লামেন্ট। যা স্কুলের পডুয়াদের মাধ্যমেই পরিচালিত হবে। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের নিয়ে তৈরি করা হবে সংসদ। স্কুলের উন্নয়নমূলক কাজ করবে সংসদ। স্কুলের উন্নয়নে কী কী প্রয়োজন, সকালের প্রার্থনার বন্দোবস্ত করা, মিড ডে মিল দেওয়ার সময় সুশৃঙ্খল ভাবে যাতে পড়ুয়ারা লাইনে দাঁড়ায়, তা তদারকি করা, দেওয়াল ম্যাগাজিন তৈরি, বিতর্ক সভা করা— এমনই নানা কাজ করতে হবে সংসদকে। শিশু সংসদের সভাপতি হবেন প্রধানশিক্ষক বা ‘টিচার ইন চার্জ’। সংসদের কাজ কেমন চলছে, তা দেখভালের দায়িত্ব সভাপতির। স্কুল পরিচালনা, উন্নয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সংসদের ভূমিকা থাকবে।

শিক্ষা সংসদের পাশাপাশি স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য আরও একগুচ্ছ কর্মসূচির কথা বলা হয়েছে। প্রত্যেক শনিবার শেষ ক্লাসে ‘আনন্দ পরিসরে’র আয়োজন করা হবে। প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের মধ্যে এই কর্মসূচি করা হবে। পড়ুয়া ও শিক্ষকদের মধ্যে আলাপচারিতা করানো হবে এই কর্মসূচিতে। ‘সফট স্কিল’-এ জোর দিতেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

পড়ুয়াদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস বাড়াতেও পদক্ষেপ করেছে পর্ষদ। পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের মধ্যে যাতে আরও বেশি করে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি হয়, সে জন্য ভূমিকা নিতে হবে স্কুলগুলিকে। প্রতি মাসে কমপক্ষে তিনটি বই যাতে পড়ে পড়ুয়ারা, সে দিকে জোর দিতে হবে। যে সব পড়ুয়া সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বই পড়বে, তাদের নামের তালিকা টাঙাতে হবে স্কুল চত্বরে। এই ভাবে পড়ুয়াদের মধ্যে বই পড়া নিয়ে উৎসাহ বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এতেই শেষ নয়, নতুন ক্লাসে ওঠার পর প্রতি ক্লাসে পড়ুয়াদের নিয়ে ‘গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি’ বা উৎসব করার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। ক্লাস টিচার প্রত্যেক পড়ুয়াকে চকোলেট, মিষ্টি, ফুল আর পেন এবং শংসাপত্র দিয়ে স্বাগত জানাবেন তাঁর নতুন ক্লাসে। নবাগত ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস টিচারকে তাদের পরিচয় জানাবে। প্রতিবছর ২ জানুয়ারি স্কুলে ‘বুক ডে’ পালন করা হয়। ওই দিন বা তার পরে কোনও একটা দিন এই কর্মসূচি করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও ‘হাউস সিস্টেমে’র কথা বলা হয়েছে। স্কুলের চৌহদ্দিতে ‘টিম স্পিরিট’ বাড়াতে এই প্রয়াসের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেখানে উঁচু শ্রেণির পড়ুয়ারা নিচু ক্লাসের পড়ুয়াদের সঠিক দিশা দেখাবে, তাদের দেখভাল করবে। মূলত, স্কুলে পড়ুয়াদের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখেই এমন অভিনব পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Schools West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy