শাহজাহান শেখের মোবাইল ফোন হন্যে হয়ে খুঁজছে সিবিআই। —ফাইল চিত্র।
শাহজাহান শেখের ফোন সংক্রান্ত ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সূত্র এল সিবিআইয়ের হাতে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, তারা জেনেছে যে, ওই ফোন নষ্ট করা হয়নি। ফোনটি কোথায় থাকতে পারে সে ব্যাপারেও কিছু তথ্য এসেছে তাদের হাতে। সিবিআই সূত্রে খবর, জেরায় এই সব তথ্য জানিয়েছেন শাহজাহান নিজেই। তদন্তকারীদের শাহাজাহান জানিয়েছেন, ফোনে বিপদ ঘনাতে পারে বুঝেই সেটি সরিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।
ইডির উপর হামলার মামলায় শাহজাহানের ফোন একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র বলে মনে করছে সিবিআই। তারা এ-ও মনে করছে যে, শাহজাহানের ওই ফোন বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের খনি। ইডি-মামলা তো বটেই, তার পাশাপাশি রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা এমনকি, যে নতুন আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি, সে বিষয়েও অনেক অজানা সূত্র হাতে আসতে পারে শাহজাহানের মোবাইল থেকে। শাহজাহানকে হেফাজতে পাওয়ার পর থেকেই তাই তাঁর মোবাইলের খোঁজে নানা জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। যদিও সেই সব তল্লাশি বিফলে গিয়েছে। তবে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এ বার খোদ শাহজাহানই দিয়েছেন তাঁর ফোনের ঠিকানা।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা জানতে পেরেছে, শাহজাহানের মোট দু’টি ফোন ছিল। একটি আইফোন। অন্যটি নোকিয়ার। দু’টি ফোনই সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনার পর শাহজাহান নিজের কাছে রাখেননি। ফোনে বিপদ আছে বুঝে ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই শাহজাহান ওই দু’টি ফোন দিয়ে দেন তাঁর এক ছায়াসঙ্গীকে। সিবিআইয়ের ওই সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহজাহান এর কারণও জানিয়েছেন। সন্দেশখালির শেখ বলেছেন, যে হেতু তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন, তাই মোবাইল সঙ্গে থাকলে তাঁর ঠিকানা খুঁজে ফেলতে পারত তদন্তকারীরা। তবে শাহজাহান ওই ফোন নষ্ট করতেও চাননি। সেই জন্যই ফোনটি তাঁর বিশ্বস্ত ছায়াসঙ্গীকে সঁপে নিজে গা-ঢাকা দিয়েছিলেন।
সিবিআই সূত্রে খবর, শাহজাহানের ওই বিশ্বস্ত ছায়াসঙ্গীর বাড়ি সরবেড়িয়া গ্রামের কাছেই। সম্প্রতি সন্দেশখালিতে শাহজাহানের ফোনের সন্ধানে গিয়ে এই ছায়াসঙ্গীর বাড়িতেও হাজির হয়েছিল সিবিআইয়ের দল। তাঁর বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয়। যদিও ফোন পাওয়া যায়নি। শাহজাহানের ওই দু’টি ফোন তিনি অন্য কোথাও সরিয়ে ফেলেছেন কি না, তা করে থাকলে কোথায় রেখেছেন, এখন তারই সন্ধানে নেমেছে সিবিআই। সূত্রের খবর শাহজাহানের ওই ছায়াসঙ্গীকে তলবও করা হয়েছে সিবিআই দফতরে।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের সন্দেশখালির বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হন ইডির তদন্তকারীরা। ইডি অভিযোগ করে শাহজাহানই ফোন করে তাঁর অনুগামীদের সাহায্যে এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন। ঘটনায় ইডির তিন আধিকারিক জখম হন। তাঁদের হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়। এর পরেই শাহাজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ইডি। তাঁর নির্দেশে ইডির উপর প্রাণনাশী হামলা চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করে। সিবিআই সেই মামলারই তদন্ত শুরু করেছে। গত সপ্তাহে বুধবার অর্থাৎ ৬ মার্চ রাতে শাহজাহানকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। তার পর থেকেই তারা হন্যে হয়ে খুঁজছে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতার মোবাইল ফোন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy