বিষ্ণুপুর আদালতে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
নিম্ন আদালতে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের জামিনের আবেদন গ্রাহ্য হল না। সোমবার বিষ্ণুপুর আদালতে জামিনের (রেগুলার বেল) আবেদন করতে এসেছিলেন সৌমিত্র। সরকার পক্ষের আইনজীবী মনোদীপ্ত চৌধুরী বলেন, ‘‘হাইকোর্ট ওঁকে আগাম জামিন দেওয়ার নির্দেশেই উল্লেখ করেছিল, এক মাসের মধ্যে বিষ্ণুপুর আদালত থেকে রেগুলার বেল নিতে হবে। সেই সময়সীমা অনেক আগেই পার হয়ে গিয়েছে। তাই জামিনের আবেদন গ্রাহ্য করা হয়নি।’’ আদালত থেকে বেরনোর মুখে সৌমিত্র বলেন, “আইনজীবীদের কর্মবিরতির জন্যই হাইকোর্টের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন জানাতে পারিনি।”
সৌমিত্রর আইনজীবী সোমনাথ রায়চৌধুরী জানান, এ দিন বিষ্ণুপুর থানায় রুজু হওয়া বেআইনি অস্ত্র মামলা ও পাত্রসায়র থানায় রুজু বালি চুরি সংক্রান্ত মামলায় জামিন নিতে বিষ্ণুপুর আদালত এসেছিলেন সৌমিত্র। ওই মামলাগুলিতে গত ২৭ মার্চ কলকাতা হাইকোর্ট সৌমিত্রকে আগাম জামিন দেয়। তবে কয়েকটি বিশেষ কারণ ছাড়া তাঁর জেলায় ঢোকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, আগাম জামিনের রায় বেরনোর এক মাসের মধ্যে বিষ্ণুপুর আদালত থেকে সৌমিত্রকে ‘রেগুলার বেল’ নিতে হবে। সেই সময়সীমা পার হয়ে গিয়েছে এপ্রিলেই। সোমনাথবাবু বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশ আমার জানা ছিল না। সৌমিত্রের কলকাতার আইনজীবীরাই বিষয়টি দেখছিলেন। আদালতের দেওয়া সময়সীমা যে পার হয়ে গিয়েছে, এ দিন বিষ্ণুপুর আদালতে গিয়েই তা জানতে পারি।”
গত জানুয়ারিতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যান সৌমিত্র। চাকরি করে দেওয়ার নাম করে টাকা তোলা, বেআইনি অস্ত্র রাখা, বালি চুরি-সহ বিভিন্ন মামলা দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। জেলার বিভিন্ন থানায় এখন তাঁর বিরুদ্ধে এমন গোটা পাঁচেক মামলা রয়েছে বলে সাংসদের আইনজীবীদের সূত্রে জানা গিয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ভোট প্রচার পর্বেও জেলায় ঢুকতে পারেননি বিজেপির প্রার্থী সৌমিত্র। তাঁর হয়ে প্রচার চালিয়েছিলেন স্ত্রী সুজাতা। ফল বেরোতে দেখা যায়, তৃণমূলের প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন সৌমিত্র।
এ দিন সৌমিত্রকে দেখতে আদালতে জড়ো হয়েছিলেন হাজার খানেক বিজেপি সমর্থক ও কর্মী। কয়েক জন প্রাক্তন তৃণমূল নেতাকেও আদালতে দেখা গিয়েছে। স্ত্রী সুজাতাকে সঙ্গে নিয়ে সৌমিত্র আদালতে ঢোকেন দুপুর ১২টার পরে। সাংসদকে দেখেই হইচই শুরু হয় অনুগামীদের মধ্যে। অনেকেই ফুলের মালা পরিয়ে দেন। গেরুয়া আবির ওড়ানো হয় আদালত চত্বরে। সৌমিত্র এজলাসে গেলে সেখানেও তাঁকে দেখতে ভিড় জমে যায়। তবে জামিনের আবেদন অগ্রাহ্য হয়ে যাওয়ায় কিছুক্ষণের মধ্যেই বেরিয়ে আসেন সৌমিত্র। সরকার পক্ষের আইনজীবী মনোদীপ্তবাবু জানান, সৌমিত্রকে ফের নিম্ন আদালতে জামিন নিতে গেলে হাইকোর্টে আবেদন করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy