(বাঁ দিকে) সন্দীপ ঘোষ। দেবাশিস সোম (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন সন্দীপ ঘোষ ‘ঘনিষ্ঠ’ আরজি করের ফরেন্সিক বিভাগের শিক্ষক দেবাশিস সোম। রবিবার বাড়িতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। সূত্রের খবর, আইসিইউতে রাখা হয়েছে দেবাশিসকে। রক্তের শর্করার মাত্রার হেরফের ঘটেছে। ডায়াবেটিক রোগী তিনি।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আর্থিক অনিয়ম মামলার তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেই তদন্তেই সিবিআইয়ের আতশকাচের নীচে ছিলেন দেবাশিস। গত ২৬ অগস্ট তাঁর কেষ্টপুরের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা তল্লাশি অভিযান শেষে তাঁকে নিয়ে নিজ়াম প্যালেসে গিয়েছিল সিবিআই। রাত পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন তিনি। তার পরের দিন আবারও নিজ়াম প্যালেসে হাজিরা দেন দেবাশিস। সেই একই দিনে আরজি করের জোড়া মামলায় জেরা করা হয় তাঁকে। নিজ়াম প্যালেস থেকে বেরিয়ে তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরেও হাজিরা দেন। সেই দফতর থেকেই সিবিআই আরজি করের মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্ত করছে। আর্থিক অনিয়ম মামলার পাশাপাশি চিকিৎসক-খুনের মামলাতেও জেরা করা হয় তাঁকে। প্রসঙ্গত, গত সোমবার আরজি কর-কাণ্ডের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। দাবি করা হয়, মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর সেমিনার হলের মধ্যে ভিড় করেছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই ভিড়ে দেখা গিয়েছে দেবাশিসকে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। সেই ভিডিয়োর সূত্র ধরেই তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়েছিল।
দেবাশিস আরজি করের ফরেন্সিক বিভাগের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে যুক্ত। ওই বিভাগের ‘ডেমনস্ট্রেটর’ পদে রয়েছেন তিনি। এ ছাড়া, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের কাউন্সিলেরও সদস্য তিনি। রয়েছেন কলেজের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের (এনএমসি) কমিটিতেও। আরজি কর হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত অনেকের দাবি, দেবাশিস আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ অত্যন্ত ‘ঘনিষ্ঠ’। হাসপাতালে তাঁর নিজের বিভাগের ঘরে নাকি তিনি বসতেন না! সন্দীপের ঘরের পাশে একটি ঘর তাঁর জন্য বরাদ্দ ছিল। সেখানে বসেই কাজ চালাতেন। ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগ তিনি ‘নিয়ন্ত্রণ’-এর চেষ্টা করতেন বলেও দাবি করছেন কেউ কেউ।
উল্লেখ্য, আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি আদালতে জানিয়েছিলেন, সন্দীপের বিরুদ্ধে চিকিৎসার জৈব বর্জ্য দুর্নীতি, সরকারি টাকা নয়ছয়, ভেন্ডার নির্বাচনে স্বজনপোষণ, নির্মাণকার্যে আইন ভেঙে ঠিকাদার নিয়োগ ছাড়াও বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের কথা। সেই মামলাতেই দেবাশিস ছাড়া আরও অনেককে ইতিমধ্যেই জেরা করেছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy