অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (বাঁ দিকে) এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
টানা সাড়ে ৮ ঘণ্টা ইডির জেরা সামলে বাইরে এলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকাল ১০টা ৫৭ মিনিটে সিজিওতে ঢুকেছিলেন তিনি। বাইরে এলেন ঠিক ৭টা ৩১ মিনিটে।
তবে সিজিও থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হননি রুজিরা। সিজিওর গেটের সামনে থেকেই গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যান তিনি। গাড়ির জানলার কাচ তোলা ছিল। অস্পষ্ট ভাব দেখা গিয়েছে, পিছনের আসনে বসেছিলেন রুজিরাক।
এই প্রথম নিয়োগ মামলায় অভিষেক-পত্নী রুজিরাকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। গত সপ্তাহেই এ ব্যাপারে ইডির সমন পৌঁছেছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের স্ত্রীর কাছে। সেই সমনে সাড়া দিয়ে রুজিরা সিজিওতে আসবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলেছে বুধবার সকাল পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত অবশ্য রুজিরা আসেন। ইডি তাঁকে আসতে বলেছিল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে। ঠিক সকাল ১০টা বেজে ৫৭ মিনিটে একটি সাদা ইনোভায় রুজিরা এসে পৌঁছন সিজিওতে।
তবে তার আগে থেকেই সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ ছিল সিজিও চত্বর। চারদিকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। গাড়ি চলাচলেও রাশ টানা হয়। সকাল ১১টা নাগাদ রুজিরা সিজিওতে ঢোকার পরও সেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল।
রুজিরাকে অবশ্য এর আগেও কয়েক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। মাস চারেক আগেই ইডির তলব পেয়ে সিজিওতে এসেছিলেন তিনি। দু’টি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন, একটি সংস্থার আর্থিক লেনদেনের খতিয়ান এবং এক হিসাবরক্ষকের বয়ানের ভিত্তিতে রুজিরাকে গত জুনের প্রথম দিকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন ইডির তদন্তকারীরা। তবে সেটি ছিল কয়লা পাচার সংক্রান্ত তদন্তের সূত্রে। সেই পর্বে টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল রুজিরাকে। বুধবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হল টানা সাড়ে ৮ ঘণ্টা।
উল্লেখ্য, ঠিক এক মাস আগে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেককে ডেকে পাঠিয়ে জেরা করে ইডি। নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জেরা করে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস মামলার হদিশ পেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। সেই সংস্থার সিইও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। অভিষেককে সে দিন ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। বেরিয়ে অভিষেক বলেছিলেন ৯ ঘণ্টা জেরার নিট ফল ‘মাইনাস টু’। বুধবার অভিষেক জায়াকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্বও প্রায় একই সময় ধরে চলল।
প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার মামলায় ইডির ডাক পেয়ে এক বছর আগে ২০২২ সালের জুন মাসে শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে ইডি দফতরে হাজির হয়েছিলেন রুজিরা। পরে তাঁকে দিল্লিতেও তলব করা হয়। রুজিরা যদিও ইডির ডাকে রাজধানীতে যাননি। বদলে কলকাতার ইডির অফিসে যান তিনি। পরে কয়লা পাচার সংক্রান্ত মামলাতে রুজিরার বিদেশে যাওয়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা হয় লুক আউট নোটিস। পরে অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই নোটিস তুলে নিতে হয়েছিল ইডিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy