প্রতীকী ছবি।
ঝাড়খণ্ডের ভোটে বিজেপির ভরাডুবি নিয়ে জেলার আদিবাসী প্রধান এলাকায় প্রচারে নেমেছে তৃণমূল। লক্ষ্য, আদিবাসী ভোট যতটা সম্ভব নিজেদের দিকে ফেরানো। এমন অবস্থায় জেলায় পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনের ‘হাওয়া’ নিজেদের পালে ধরে রাখতে শুধু বিজেপির উপরে ভরসা না রেখে মাঠে নামল সঙ্ঘ।
গেরুয়া শিবিরের খবর, জেলার আদিবাসী প্রধান ব্লকগুলিতে এনআরসি ও নতুন নাগরিকত্ব আইনের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে পুস্তিকা নিয়ে পৌঁছচ্ছেন সঙ্ঘের সদস্যেরা। সে সব ব্লকে বিলি করা হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার পুস্তিকা। সেই প্রচারে আদিবাসী নেতাদেরও শামিল করা হচ্ছে।
মালদহের মানিকচকে গঙ্গা পার হলেই ঝাড়খণ্ড। সাম্প্রতিক বিধানসভা ভোটে ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতা হারিয়েছে বিজেপি। তাকেই ‘হাতিয়ার’ করে মালদহের আদিবাসী প্রধান চারটি ব্লকে প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল ও বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন। তাঁদের দাবি, বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের
আদিবাসীরা। এ রাজ্যের আদিবাসীরাও এনআরসি, নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন। তাতে তাঁরাও গেরুয়া শিবিরের উপরে ক্ষুব্ধ।
তবে পঞ্চায়েত আর লোকসভা ভোটের নিরিখে সে সব এলাকার অধিকাংশ আদিবাসী ভোট গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। সেই পরিস্থিতি বদলাতেই এ বার ঝাড়খণ্ডের আদিবাসীদের ক্ষোভের কথা জেলায় তুলে ধরছে তৃণমূল।
জেলার আদিবাসী এলাকায় নিজেদের ‘দুর্গ’ ধরে রাখতে তৎপর গেরুয়া শিবিরও। হবিবপুরে আরএসএসের এক নেতা বলেন, ‘‘আদিবাসী এলাকায় সে সব পুস্তিকা পাঠ করা হচ্ছে। বুথে বুথে এলাকার সবাইকে নিয়ে গিয়ে তা শোনানো হচ্ছে। যাতে এনআরসি নিয়ে কারও মনে কোনও ভয় না থাকে।”
উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে আদিবাসী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। আদিবাসীরা তা বুঝেই লোকসভা ও পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিকে সমর্থন করেছেন। এ রাজ্যের বিধানসভা ভোটেও তাঁরা বিজেপির সঙ্গেই থাকবেন।’’
ওই দাবি উড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী সরলা মুর্মু বলেন, ‘‘বিজেপি আদিবাসীদের ভুল
বুঝিয়ে ভোট পেয়েছে। আদিবাসীরা এখন তা বুঝতে পেরেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy