মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেন দীপিকা। ছবি: সংগৃহীত।
প্রথম ছবিতেই তাঁর হাসিতে কুপোকাত হয়েছিল দর্শক। ‘ওম শান্তি ওম’ ছবিতে তাঁর অভিনীত ‘শান্তিপ্রিয়া’র টানা টানা চোখে ডুব দিয়েছিল বহু পুরুষ মন। তার পর থেকে কেটে গিয়েছে ১৭টা বছর। এখন বলিউডের প্রথম সারির অন্যতম নায়িকা তিনি। তবে শুধু পর্দায় নয়। পর্দার পিছনে দীপিকা পাড়ুকোনের ব্যক্তিত্বেও মুগ্ধ অনুরাগীরা। একটা সময় প্রকাশ্যে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলা শুরু করেছিলেন তিনি। নিজের অবসাদ নিয়েও কোনও রাখঢাক করেননি। এমনকি, প্রতিটি ছবির সেটে এক জন মনোবিদের প্রয়োজন বলে মনে করেন দীপিকা।
চলচ্চিত্র শক্তিশালী মাধ্যম। তাই ছবিতেও মানসিক স্বাস্থ্যকে সঠিক ভাবে তুলে ধরা উচিত বলে মনে করেন দীপিকা। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, “ছবিতে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বার্তা সঠিক ভাবে তুলে ধরা হলে, ভারতের মতো দেশে তার ফলাফল ও প্রভাব দেখার মতো হবে।”
সেই সাক্ষাৎকারেই দীপিকা আরও বলেছিলেন, “আগামী কয়েক বছরে আমি ব্যক্তিগত ভাবে একটা কাজ করতে চাই। ছবির সেটে যেন এক জন মনোবিদ উপস্থিত থাকেন, তা নিশ্চিত করব। আমাদের শুটিং সেটে কিন্তু চিকিৎসক উপস্থিত থাকেন। তা হলে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মনোবিদ কেন থাকবেন না?”
এক সময় আত্মহননের কথাও মাথায় এসেছিল দীপিকার। তিনি বলেছিলেন, “বিষণ্ণতায় ডুবে যেতে যেতে এক সময় আমি আত্মহননের কথাও ভেবেছিলাম। এই সময় আমার মা আমাকে বাঁচিয়েছিলেন। আমার মা-ই বুঝতে পেরেছিলেন, অবসাদ গ্রাস করেছে আমাকে।”
জীবনে তেমন কোনও সমস্যা না থাকলেও যে অবসাদ আসতে পারে, সেই দিকটিই স্পষ্ট করেছিলেন দীপিকা। অভিনেত্রীর কথায়, “আমার কাজকর্ম এবং বাকি সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল। জীবনে তেমন কোনও বড় সমস্যাও ছিল না। তবে কেন মনের মধ্যে অজানা আতঙ্ক কাজ করছিল জানি না। ঘুম থেকে উঠতে চাইতাম না। যেন মনে হত, ঘুমিয়ে থাকলে জীবনের সমস্যাগুলি থেকে পালিয়ে যাওয়া সম্ভব! অনেক দিন এমনও গিয়েছে যখন আত্মহত্যার কথাও ভেবেছি। এই সমস্যা আঁচ করতে পেরেছিলেন আমার মা। তিনি আমাকে নানা ধরনের প্রশ্ন করতে শুরু করেন। প্রেম সংক্রান্ত, কাজ নিয়ে নানা প্রশ্ন করতেন মা আমাকে, যার কোনও উত্তর আমার কাছে থাকত না। তখনই মা বুঝতে পারেন, আমার মনোবিদের সাহায্যের প্রয়োজন। ভাগ্যিস মা সঠিক সময়ে বুঝতে পেরেছিলেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy