বিজেপির বিক্ষোভের জেরে গাড়ির সারি ২ নম্বর জাতীয় সড়কে। মঙ্গলবার বিকেলে দুর্গাপুরের পলাশডিহা মোড়ে বিকাশ মশানের তোলা ছবি।
নারদ-কাণ্ড নিয়ে বিজেপির বিক্ষোভ-অবরোধে যানজট হল শিল্পাঞ্চলের নানা রাস্তায়। মঙ্গলবার বিকেলে দুর্গাপুরের পলাশডিহা মোড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে ও আসানসোলে হাটন রোডে অবরোধ হয়।
এ দিন বিকেল ৪টে নাগাদ বিজেপির দুর্গাপুর পূর্বের প্রার্থী অখিল মণ্ডল এবং দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের প্রার্থী কল্যাণ দুবের নেতৃত্বে কয়েক জন বিজেপি কর্মী-সমর্থক সিটি সেন্টারের পলাশডিহা মোড়ে জড়ো হন। জাতীয় সড়কের মাঝে দাঁড়িয়ে তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। আটকে পড়ে যানবাহন, লরি, ট্রাক, বাস। জাতীয় সড়কের পাশাপাশি সিটি সেন্টার থেকে আসানসোল বা বেনাচিতিগামী বাসও আটকে পড়ে। পুলিশ আসার জন্য যাত্রীরা অপেক্ষা করতে থাকেন। কিন্তু সঙ্গে-সঙ্গে পুলিশের দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ। প্রায় আধ ঘণ্টা পরে পুলিশ পৌঁছয়। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও। বিক্ষোভকারীদের জাতীয় সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এ ভাবে ব্যস্ত জাতীয় সড়ক কয়েক জনের বিক্ষোভে আটকে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন গাড়ির চালক ও যাত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য, জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ বা অবরোধ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে পুলিশি তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে চার দিকে। সেখানে এই বিক্ষোভের খবর কেন এত দেরিতে পুলিশ পেল সে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অবরোধে আটকে পড়া অনেকেই। পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (পূর্ব) কুমার গৌতম জানান, পুলিশ যেতে দেরি করেছে বলে তিনিও জেনেছেন। কেন তা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
আসানসোলে এ দিন স্টেশন রোড থেকে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মিছিল হাটন রোডে পৌঁছয়। তার পরে অবরোধে বসে পড়েন কর্মী-সমর্থকেরা। রাস্তায় যানজট শুরু হয়ে যায়। এ দিন মিছিলে ছিলেন আসানসোল উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নির্মল কর্মকার।
রানিগঞ্জে মিছিল সিপিএমের। নিজস্ব চিত্র।
এ দিন রানিগঞ্জেও ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে নেতাজি মূর্তির সামনে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। ছিলেন দলের প্রার্থী মণীশ শর্মা। কলকাতায় দলের নেতা রাহুল সিংহকে হেনস্থার প্রতিবাদে স্লোগান দেয় দলের কর্মীরা। বল্লভপুরে নারদ-কাণ্ডের প্রতিবাদে এ িদন মিছিল করে সিপিএম-ও।
বিজেপির বর্ধমান জেলা সভাপতি তাপস রায় জানান, ভোটের প্রচারে শিল্পাঞ্চলে এ বার এই নারদ-কাণ্ডকেই হাতিয়ার করবেন তাঁরা। আর এক বিরোধী দল সিপিএমের আসানসোলের নেতা বংশগোপাল চৌধুরীও জানান, তাঁদের প্রচারেও এ বার অন্যতম হাতিয়ার হবে এই ঘটনা। তৃণমূলের আসানসোল জেলা সভাপতি তথা এ বার জামুড়িয়ায় দলের প্রার্থী ভি শিবদাসনের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘এ সব সাজানো। কোনও ভিত্তি নেই। মানুষ ওদের কথা বিশ্বাস করবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy