স্থানীয়দের অভিযোগ, ধূপগুড়ির যাবতীয় আবর্জনা ফেলায় কুমলাই নদী কার্যত নর্দমায় পরিণত হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শহরের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে কুমলাই নদীতে। যার জেরে দূষিত হচ্ছে ধূপগুড়ি শহরের জীবনরেখা হিসেবে পরিচিত কুমলাই। ৫ জুন, শনিবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসেও নদীর দূষণ নিয়ে অসচেতন ধূপগুড়ির অধিকাংশ বাসিন্দা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ধূপগুড়ির চিকিৎসা কেন্দ্রগুলির বর্জ্য, প্লাটিক, মৃত গবাদি পশু থেকে শুরু করে যাবতীয় আবর্জনা ফেলায় কুমলাই নদী কার্যত নর্দমায় পরিণত হয়েছে। নদীর আশপাশ দিয়ে যাতায়াত করার সময় দুর্গন্ধে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়। যদিও বছর তিনেক আগেই এ শহরকে ‘গ্রিন সিটি জোন’ এবং প্লাস্টিক-মুক্ত বলে ঘোষণা করেছেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ। এ দিকে কুমলাইয়ের দূষণের জেরে বিলুপ্ত হয়েছে নদীর নানা প্রজাতির মাছ।
শেফালি দাস বা চিরঞ্জিত দাসের মতো স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “পচা দুর্গন্ধে কুমলাই নদীর পাশ দিয়ে যেতে পারি না। ছোটবেলা থেকে দেখেছি, এখানে মাছ ধরা হত। আজ সে নদী নালায় পরিণত হয়েছে। প্রশাসনের এ নিয়ে কোনও খেয়াল নেই।”
কুমলাই নদীর বেহাল দশা কাটানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন পরিবেশপ্রেমীরা। ‘ডুয়ার্স নেচার অ্যান্ড স্নেক লাভার্স অর্গানাইজেশন’ নামে এক সংগঠনের সদস্য মেহবুব আলম বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পরিণত হয়েছে কুমলাই নদী। প্রতিদিন আবর্জনা ফেলতে ফেলতে কুমলাইয়ের নাব্যতা হারিয়ে গিয়েছে। এ ভাবে চলতে থাকলে একে আর নদী বলা যাবে না। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হোক, এটাই চাই।”
কুুমলাই নদী পরিষ্কারের আশ্বাস দিয়েছেন ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশকুমার সিংহ। তিনি বলেন, “নদীতে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও এই নদী পরিষ্কারের জন্য সেচ দফতরকে জানিয়েছি। খুব শীঘ্রই আমরা নদী পরিষ্কারের ব্যবস্থা করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy