প্রথম ক্ষেত্রে বীরভূমের ৩৮ জন এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে বীরভূমের অন্তত ৫০ জন চাকরি হারিয়েছিলেন। প্রতীকী ছবি।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে হঠাৎই তৎপরতা শুরু হয়েছে চাকরি খোয়ানোদের একাংশের মধ্যে। বীরভূমে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে তাঁরা সংশ্লিষ্ট স্কুলে গিয়ে দাবি করছেন খোয়া যাওয়া চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার। এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়, তা জানতে শনিবার দুপুরে জেলার বেশ কয়েক জন প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) চন্দ্রশেখর জাউলিয়ার সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করেন। সূত্রের দাবি, সেই আলোচনায় কোনও সদুত্তর মেলেনি।
বীরভূমের বিভিন্ন স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই চাকরি খোয়ানো নবম-দশমের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের অনেকেই স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজে যোগ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। কেউ আবার কাজে যোগ দেওয়ার দাবিতে আইনজীবীদের চিঠি নিয়ে স্কুলেও হাজির হয়েছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নবম-দশমের ৬১৮ জন শিক্ষকের সুপারিশপত্র বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মার্চে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৮৪২ জনের সুপারিশপত্র ও চাকরি বাতিলেরও নির্দেশ দেন তিনি। প্রথম ক্ষেত্রে বীরভূমের ৩৮ জন এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে বীরভূমের অন্তত ৫০ জন চাকরি হারিয়েছিলেন। তাঁদের অনেকেই চাকরি ফিরে পেতে শনিবার স্কুলে যোগাযোগ করেন বলে একাধিক স্কুল সূত্রে দাবি।
সিউড়ি শহরের একটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মী এ দিন যোগাযোগ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। খয়রাশোলের একটি স্কুলে চাকরি খোয়ানো তৃতীয় শ্রেণির এক কর্মীও এ দিন স্কুলে এসে জানতে চান, তাঁকে কাজে কেন যোগ দিতে দেওয়া হবে না। এমনই ঘটনা আরও কয়েকটি জায়গায় ঘটেছে। কেউ কেউ সোজা আইনজীবীর চিঠি ধরিয়েছেন, দাবি সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের।
এই পরিস্থিতিতে ধন্দে পড়েছেন প্রধান শিক্ষকেরা। তাঁদের অনেকে বলছেন, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দিষ্ট নির্দেশের প্রেক্ষিতে ওঁদের চাকরি বাতিল হয়েছিল। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তাঁদের যোগ দেওয়ানোর সুনির্দিষ্ট নির্দেশ নেই। ডিআই ও কিছু বলেননি।’’ এক প্রধান শিক্ষকের কথায়, ‘‘যেটুকু জেনেছি, নির্দেশ খারিজ নয়, স্থগিতাদেশ হয়েছে। ডিআই মারফত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের একটি বিজ্ঞপ্তি স্কুলে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ‘কেপ্ট ইন অ্যাবেয়্যান্স’ অর্থাৎ স্থগিত রাখার কথাই বলা হয়েছে। তার ভিত্তিতে কাজে ফেরানো সম্ভব নয়।’’
খয়রাশোলের একটি স্কুলের এক তৃতীয় শ্রেণির কর্মীর দাবি, ‘‘শীর্ষ আদালতের নির্দেশ সামনে আসতে অন্য জেলায় অনেকে কাজে যোগ দিয়েছেন।’’ সিউড়ির চাকরি হারানো এক শিক্ষকও একই দাবি করেন। তবে খয়রাশোলে স্কুলের চাকরি হারানো এক শিক্ষিকা বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট নির্দেশই তো পাইনি। পেলে দেখা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy