Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Chandan Mondal

৪৪ লক্ষ দিয়েছিলাম চাকরির আশাতেই! চন্দনের বিরুদ্ধে এ বার মুখ খুললেন গ্রামবাসী

উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক উপেন বিশ্বাস ভিডিয়ো বার্তায় কটাক্ষ করে বলেছিলেন, বাগদার বাসিন্দা রঞ্জন খুবই সৎ মানুষ। কারণ, তিনি লোকের থেকে টাকা নিয়ে সকলকেই চাকরি দেন।

Picture of Chandan mondal

চন্দন মণ্ডল। ফাইল চিত্র।

সীমান্ত মৈত্র  
বাগদা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:২৭
Share: Save:

নিয়োগ-দুর্নীতিতে জড়িত সন্দেহে সিবিআইয়ের হাতে ধৃত চন্দন মণ্ডলকে পরিবারের পাঁচ জনের চাকরির জন্য ৪৪ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি করলেন এক ব্যক্তি।

উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক উপেন বিশ্বাস ভিডিয়ো বার্তায় কটাক্ষ করে বলেছিলেন, বাগদার বাসিন্দা রঞ্জন খুবই সৎ মানুষ। কারণ, তিনি লোকের থেকে টাকা নিয়ে সকলকেই চাকরি দেন। পরে জানা যায়, এই রঞ্জনের আসল নাম চন্দন মণ্ডল। বাগদার মামা ভাগিনা গ্রামের বাসিন্দা চন্দনকে অনেকেই টাকা দিয়ে স্কুলের চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।

চন্দনের এক দূরসম্পর্কের আত্মীয়, বাগদারই বাসিন্দা অরবিন্দ বিশ্বাস বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর পরিবারের ৫ জনের স্কুলের চাকরির জন্য ৪৪ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন চন্দনকে। দু’জনের চাকরি হয়েছিল। বাকি তিন জনের ভাগ্যে অবশ্য শিকে ছেঁড়েনি বলে জানা গিয়েছে।

অরবিন্দের দাবি, তাঁর মেয়ে, ভাইপো, ভাই, কাকার ছেলে ও ভাগ্নেকে চন্দন চাকরি পাইয়ে দেবেন বলেছিলেন। স্কুলের চতুর্থ শ্রেণি, প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার কথা ছিল। চতুর্থ শ্রেণি ও প্রাথমিকে চাকরির জন্য মাথা-পিছু ১২ লক্ষ টাকা করে চেয়েছিলেন চন্দন। অগ্রিম ৫ লক্ষ টাকা এবং চাকরি হয়ে গেলে বাকি ৭ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা হয়।

অরবিন্দের দাবি, চতুর্থ শ্রেণিতে দু’জনের চাকরি করেও দেন চন্দন। বাকিদেরটা করতে পারেননি। সেই টাকা ফেরতও মেলেনি। পরিবারের যে দু’জন চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের আবার আদালতের নির্দেশে মাস দুয়েকের মাথায় চাকরি যায়।

চন্দনের বাড়ির কাছেই থাকেন অরবিন্দ। তিনি বলেন, ‘‘পারিবারিক জমিজমা বিক্রি করে টাকা দিয়েছিলাম। আমাদের এখানে আরও অনেকে ভিটে-জমি বিক্রি করে টাকা দিয়েছেন চন্দনকে।’’ বাগদা পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য অনুপ ঘোষও বলেন, ‘‘মামাভাগিনা এলাকায় শ’খানেক মানুষ চন্দনকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন।’’

কিন্তু এ সব নিয়ে এত দিন পরে মুখ খুললেন কেন?

অরবিন্দের জবাব, ‘‘আশা ছিল, টাকাটা ফেরত পাব। এখন মনে হচ্ছে, আর সেটা সম্ভব নয়।’’

তবে কি পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন? সেই চিন্তাভাবনা আছে বলে জানালেন অরবিন্দ।

অন্য বিষয়গুলি:

Recruitment Scam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy