—প্রতীকী ছবি।
শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতিতে সরকারি দফতর, শিক্ষক শিক্ষণ কলেজের অনেকের নাম জড়িয়েছে। সিবিআই সূত্রের খবর, এ বার তদন্তে উঠে এসেছে বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকার নামও। শিক্ষা দফতরের পদস্থ কর্তাদের একাংশের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতার’ সুবাদে ওই প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকারা অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের মেধা তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। সেখানেই ওই নাম উঠে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রের দাবি।
তদন্তকারীদের একাংশের বক্তব্য, যে সব প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকার নাম সামনে এসেছে, তাঁরা আপাত ভাবে ‘প্রভাবশালী’ নন। তবে শিক্ষা দফতরে যাতায়াতের সূত্রে পদস্থ আধিকারিকদের একাংশের সঙ্গে ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতা আছে। সেই যোগাযোগ কাজে লাগিয়েই এই চক্রে তাঁরা ঢুকেছেন বলে তদন্তকারীদের সূত্রে অভিযোগ। তবে তালিকার অনেকের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদেরও যোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মূলত রাজ্যের শাসক দলের শিক্ষক সংগঠনের সূত্র ধরেই ওই যোগাযোগ বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
এখনও পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে প্রায় ৫০ জনের নাম এসেছে। তাঁদের মধ্যে প্রধান শিক্ষক বা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছাড়াও কয়েক জন সহকারী প্রধান শিক্ষকের নাম আছে। ওই শিক্ষকদের তালিকা আদালতে জমা দেওয়া হতে পারে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে বলেও দাবি করেছে সিবিআইয়ের সূত্র। এ ছাড়াও, ওই শিক্ষক-শিক্ষিকা যে আধিকারিকদের ঘনিষ্ঠ তাঁদেরও তলব করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের এসএসসি-র মাধ্যমে নিযুক্ত প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুুপ্রিম কোর্টে গিয়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ পেয়েছে রাজ্য। তবে তদন্তে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। আগামী জুলাইয়ে সুুপ্রিম কোর্টে ফের মামলাটি উঠতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy