নিজস্ব চিত্র।
বীরভূমের রামপুরহাটে তৃণমূল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। বগটুই গ্রামে পর পর বাড়িতে আগুন। অগ্নিদগ্ধ বাড়িগুলি থেকে ১০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে দমকল। বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, একটি বাড়িতে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে যাচ্ছে সিআইডি এবং ফরেন্সিক টিম। হেলিকপ্টারে রামপুরহাট যাচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম (বীরভূমের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা), আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিজিত সিন্হা।
আগুনে আহত ৪ জনকে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । আহতদের মধ্যে একজন শিশু। বাকিদের মধ্যে ১ জন যুবক এবং ২ জন মহিলা। তাঁদের আঘাত গুরুতর হলেও অবস্থা স্থীতিশীল বলে জানিয়েছে হাসপাতাল। এ ছাড়া আরও যাঁদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে ৬ মহিলা, ২ জন শিশু-সহ ৯ জনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বোমা হামলায় তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের মৃত্যু হয়। ভাদু রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। তাঁর বাড়ি রামপুরহাট থানা এলাকার বগটুই গ্রামে। সেখানে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন ভাদু। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে পালায় এক দল দুষ্কৃতী। ঘটনার পর স্থানীয়েরা রক্তাক্ত অবস্থায় ভাদুকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা ভাদুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তার পর থেকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ওই গ্রাম। পর পর বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। দমকল আধিকারিক জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তিন জনের ঝলসানো মৃতদেহ উদ্ধার করার পর মঙ্গলবার সকালে আরও সাত জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সাত জনই একটি বাড়িতে ছিলেন। দমকলের হিসেব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দশ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘তিন চারটি বাড়িতে আগুন লেগেছিল। টিভি ফেটে আগুন লাগে। দমকল, পুলিশ গিয়েছিল। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক, তার পর বলব।’’ তবে উপপ্রধান খুনের সঙ্গে এর যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনুব্রত। তিনি বলেন, ‘‘গতকালের ঘটনার সঙ্গে এর যোগ থাকতে পারে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। আমি তো ওখানে ছিলাম না। আমি সকালে খবর পেয়েছি। আমি যতদূর খবর পেয়েছি, একটি বাড়িতেই সাত জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy