ডায়মন্ড হারবারে হরিনাম সংকীর্তনের আসরে ভাঙুচুর করা হয় বলে অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।
হরিনাম সংকীর্তনের আসরে কেউ বা কারা ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়ায় ভাঙচুর চালিয়ে নামগান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ডায়মন্ড হারবার থানার উত্তর পঞ্চগ্রাম এলাকার এই ঘটনায় জেরে এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে সোমবার সকালে। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের উপর বিজেপি কর্মীরা পাল্টা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে দু'পক্ষই থানার দ্বারস্থ হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার বাসুলডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর পঞ্চগ্রামে হরিনাম সংকীর্তন চলছিল। সেখানে কেউ 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি দেওয়ায় দলবল নিয়ে ভাঙচুর চালান স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সত্যজিৎ দাস। যার জেরে সংকীর্তন বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন গ্রামবাসীরা। সোমবার সকালে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের বিজেপি-র লোকজন মারধর করে বলে অভিযোগ। দু'পক্ষই ডায়মন্ড হারবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে। ঘটনাস্থলে উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি-র ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার আহ্বায়ক দেবাংশু পণ্ডা বলেন, “এলাকায় কোনও গণতন্ত্র নেই। সাধারণ মানুষকে তাঁদের ধর্মাচরণে বাধা দিচ্ছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” তবে অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, ওই আসরে বিজেপি-র লোকেরা ঢুকে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়েছেন। সত্যজিতের দাবি, “আসরে কৃষ্ণের নাম না করে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়া হচ্ছিল। রাজনৈতিক ভাবে অনুপ্রাণিত হয়েই বাংলার লোকসংস্কৃতিতে জোর করে এটা ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” যদিও বিজেপি-র বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে ডায়মন্ড হারবার-১ ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি গৌতম অধিকারীর দাবি, “পারিবারিক বিবাদে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে তৃণমূলের নামে অপপ্রচার করতে চাইছে বিজেপি। বরং ওদের কর্মীরাই এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। ধর্মের রাজনীতি ওরা করে, তৃণমূল নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy