বছর কয়েক আগে ওয়াগন তৈরির জন্য রেলের তরফে প্রায় ৫০ কোটি টাকার লোহা এবং ইস্পাত দেওয়া হয়েছিল জেসপকে। রেলের তরফে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে— সেই সামগ্রী দিয়ে জেসপ কি করেছে, তা জানেন না তাঁরা।
সিআইডি সূত্রের খবর, রেলের তরফে গত মাসে এ ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছেন এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর (রেলওয়ে স্টোর)। সেই চিঠির সূত্র ধরে রেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন গোয়েন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন— ওই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ, শুক্রবার রেল এবং সিআইডি একযোগে জেসপ কারখানায় পরিদর্শনে যাবে। বছর কয়েক আগে দেওয়া ওই লোহা ও ইস্পাত কারখানার ভিতরে আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। একই ভাবে, ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যাল লিমিটেডের তরফেও বরাতে কয়েক কোটি টাকার সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল। সিআইডি জানতে পেরেছে, সেই সামগ্রীরও কোনও হিসেব জেসপ কর্তৃপক্ষ দেননি।
গোয়েন্দাদের দাবি, তদন্তে প্রথম থেকেই সংস্থার আয়-ব্যয় ও সম্পত্তির হিসেব মিলছে না। সেই সঙ্গে কারখানার মালিক পবন রুইয়া-সহ কর্তাব্যক্তিরা তদন্তে অসহযোগিতা করছেন বলেও অভিযোগ সিআইডির। এই পরিস্থিতিতে রেলের চিঠি তদন্তে সাহায্য করবে বলে আশা সিআইডি-র। সংস্থার আর্থিক হিসেব জানার জন্য ইতিমধ্যেই ফরেন্সিক অডিটের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভবানীভবনে ডাকা হয়েছিল জেসপের জেনারেল ম্যানেজার (ওয়াগন ডিভিশন) হেমেন বন্দোপাধ্যায়, সংস্থার ডিরেক্টর সৌমিত্র ঘোষ এবং জেসপের দুর্গাপুর ইউনিটের দায়িত্বে থাকা মানস রায়কে। গোয়েন্দাদের দাবি: প্রত্যেকেই জানান, ২০১৪ সালের পরে ওই সংস্থার সঙ্গে তাঁদের আর কোনও যোগাযোগ নেই। তদন্তকারীরা জানান, সংস্থার সব কাজকর্ম পবন রুইয়ার নজরে ছিল বলে এ দিন জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন তিন কর্তাই।
এ দিকে, শুক্রবার হাজিরা দিতে বলা হয়েছে পবন রুইয়াকে। এর আগে তিনবার ডাকা হলেও তিনি তদন্তকারীদের সামনে আসেননি। গোয়েন্দারা জানান, শুক্রবারও রুইয়া না এলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ আনা হবে। আদালত পবনকে তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তদন্তকারীদের নির্দেশ বারবার অমান্য করাকে আদালতের নির্দেশ অমান্য করা বলেই মনে করছে সিআইডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy