—প্রতীকী ছবি।
কাজের চাপের তুলনায় যথেষ্ট সংখ্যক চিফ ইঞ্জিনিয়ার নেই। ফলে রাজ্যে জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি দফতরের অধীনস্থ নির্মীয়মান পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পগুলিতে নজরদারির অভাব ঘটছে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় চিফ ইঞ্জিনিয়ারের সংখ্যা বাড়ানো এবং প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টির দাবি নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন।
পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ছাড়াও রাজ্যের আর্সেনিক কবলিত আট জেলা এবং উত্তরে দার্জিলিং-কালিম্পংয়ে এখন একাধিক জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজ এই দফতরের অধীনে রয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে রাজ্যের ২ কোটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দিতে মুখ্যমন্ত্রী চলতি বছরের জুলাই মাসে ৫৮ হাজার কোটি টাকার যে জলস্বপ্ন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন, তার কাজও এই দফতরের রূপায়ণ করার কথা। জল স্বপ্ন প্রকল্পের কাজ ছাড়াও প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন নতুন প্রকল্পের কাজ রয়েছে। এ ছাড়াও আছে ফি বছর বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ১২০০ কোটি টাকার রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিকাশি প্ল্যান্ট তৈরি দায়িত্বও এখন এই দফতরের। শুধু দফতরের কাজের বরাদ্দের হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার পিছু টাকার অঙ্কে ৪২২ কোটি টাকার কাজ তদারকি করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। যা পূর্ত দফতর (৩৮০ কোটি), সেচ দফতর (৩১১ কোটি) এবং জলসম্পদ অনুসন্ধান দফতরের (২৩৬ কোটি) তুলনায় অনেকটাই বেশি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে উপযুক্ত নজরদারির অভাবে জলাধার ভেঙ্গে পড়া থেকে জেটি জলের তোড়ে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এমনকি রাজ্যের আটটি আর্সেনিক কবলিত জেলার ৮৩টি ব্লকে নিরাপদ পানীয় জল পৌঁছে দিতে না পারার জন্য সম্প্রতি জাতীয় পরিবেশ আদালতের তোপের মুখেও পড়তে হয় রাজ্যকে।
বর্তমানে রয়েছেন ৮ চিফ ইঞ্জিনিয়ার। সংগঠনের পক্ষ থেকে অন্তত ১৫ জন চিফ ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের দাবি তোলা হয়েছে। এ নিয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর দফতরের মন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার কথাও জানান তাঁরা। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের প্রধান সচিব এবং রাজ্যের মুখ্য সচিবকে সমস্যার কথা জানিয়ে মাস দেড়েক আগে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী-আমলা, সব স্তরে সমস্যার কথা জানালেও ফল মেলেনি বলে অভিযোগ সংগঠনের।
জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র অবশ্য সমস্যার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, " সংগঠন আমাকে সমস্যার কথা জানায়নি। অন্য কোথাও চিঠি দেওয়ার আগে আমার সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত ছিল তাঁদের।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy