তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন পুরুলিয়ার বিভিন্ন বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরা। রবিবার নিতুড়িয়ায় কর্মিসভায় এসে তৃণমূলে যোগদানের কথা জানান রঘুনাথপুর ১ ব্লকের খাজুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএমের উপপ্রধান অমরজিৎ বাউরি-সহ পঞ্চায়েতের দুই সদস্য। তাঁদের দলে স্বাগত জানিয়ে মুকুলবাবু দাবি করেন “রঘুনাথপুর ১ ব্লকের সাতটা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে শুধু খাজুরা সিপিএমের দখলে ছিল। তিন পঞ্চায়েত সদস্যের যোগদানের পরে ওই পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে এল।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রদীপ রায়ের দাবি, “রাজ্য জুড়েই আর্থিক প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে মুকুলবাবুরা বিরোধীদের দলভাঙার খেলায় নেমেছেন। রঘুনাথপুরেও একই ঘটনা ঘটেছে।” তবে পরিসংখ্যানের হিসেবে ওই পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে আসছে না বলে পাল্টা দাবি করেছেন প্রদীপবাবু। তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন রঘুনাথপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতি ও নিতুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএমের দুই সদস্য সম্পূর্না সহিস ও আসমা বিবি। দু’টি পঞ্চায়েত সমিতিই তৃণমূলের দখলে। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন রঘুনাথপুর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজু ধীবর, দুই জেলা কংগ্রেসে নেতা জয়দেব আঢ্য এবং বি কে সিংহদেও। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিভাস দাস বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে দলবিরোধী কাজে যুক্ত থাকায় ওঁদের বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।”
কংগ্রেসে যোগ দিলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার জেলা সভাপতি নিমাই মাহাতো। শনিবার রাতে পুরুলিয়া শহরে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পরে অনুগামীদের নিয়ে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তাঁর দাবি, “পিছিয়ে পড়া পুরুলিয়ার উন্নয়নের দাবিতে এতদিন আন্দোলন করছিলাম। সেই আন্দোলন জোরাল করতে কংগ্রেসে যোগ দিলাম।” কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, “পুরুলিয়ার উন্নয়নের দাবিতে আমরা আগে থেকেই আন্দোলন করছি। নিমাইবাবু যোগ দেওয়ায় ওই দাবি আরও গতি পেল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy