মাখড়া-চৌমণ্ডলপুর নয়, ইমাদপুরের রাজনৈতিক সংঘর্ষের পরই যেন টনক নড়ল রাজ্যের শাসকদলের। আজ শনিবার তাই সদ্য পাড়ুই থেকে সভা করে ফিরে যাওয়া বিজেপির পাল্টা জবাব দিতে এলাকায় প্রতিবাদ সভা করছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব!
জেলার ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত, দিন দুয়েক আগে পাড়ুই বাজার সংলগ্ন মাঠে সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সভা করেছিল বিজেপি। সেই সভায় এলাকায় বিজেপির দাপট প্রকাশ হয়ে পড়ে। যাতে কপালে ভাঁজ পড়ে জেলা তৃণমূল কর্তাদের। ওই দিন বিজেপির সভায় যোগ দিয়েছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ-সহ একাধিক রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব। বিজেপি দাবি, ওই সভায় হাজার দশেক কর্মী-সমর্থক এসেছিলেন।
কার্যত ওই সভাকে টেক্কা দিতেই ইমাদপুরে রাজনৈতিক সংঘর্ষের পর কার্যত আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে, তৃণমূল নেতা তথা বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী ঘটনার পরের দিন ওই গ্রামে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ক্ষোভের আঁচ পেয়ে, তড়িঘড়ি ওই গ্রামের তৃণমূল দুর্গ ধরে রাখতে কার্যত তাই মাঠে নেমছেন দলীয় নেতৃত্ব। স্থানীয়দের ক্ষোভ যাতে প্রশমিত হয়, তার জন্য সব রকমের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। তৃণমূলের একটি সুত্র জানাছে, বিজেপির সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আয়োজিত ওই সভায় হাজির থাকছেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী প্রমুখ।
প্রাথমিক ভাবে ওই প্রতিবাদ সভা ইমাদপুর গ্রামের মধ্যে থাকা একটি খেলার মাঠে করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের জেলা ও স্থানীয় নেতৃত্ব। তবে, জন সমাগমের কথা মাথায় রেখে শেষ মুহূর্তে স্থান বদলের সিদ্ধান্তও নিয়েছেন দলের জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূলের পাড়ুই থানা কমিটির চেয়ারম্যান মুস্তাক হোসেন বলেন, “বিজেপি ও তাঁদের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের সন্ত্রাস, লুটপাট ও আক্রমণের ঘটনার প্রতিবাদে একটি প্রতিবাদ সভা করা হবে।” জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, ওই সভায় জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম প্রমুখ থাকবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy