কিছু কি রক্ষা পেয়েছে? খোঁজ রাইপুরের পোড়া বাড়িতে।—নিজস্ব চিত্র।
আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল রাইপুরের মটগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচটি খড়ের চালার বাড়ি। রবিবার রাতের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মটগদা গ্রামের গগন দাসের বাড়িতে গোয়ালঘরে মশা তাড়াতে সন্ধ্যা বেলায় শুকনো পাতায় আগুন জ্বেলে ধোঁয়া দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই আগুন ভাল করে না নেভানোয় এই বিপত্তি। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে বাসিন্দাদের দাবি। গগনবাবু বলেন, “ধোঁয়া দেওয়ার পরে আগুন নিভিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু তার পরেও এত বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারে ভাবতে পারিনি।” রাতে গগনবাবুর বাড়ি-সহ লাগোয়া ভদ্রেশ্বর দুলে, অসিত দুলে, বিভূতিভূষণ দাস ও সুভাষ দাসের বাড়িতেও ছড়িয়ে পড়ে আগুন। পাঁচটি বাড়ি আসবাবপত্র-সহ সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন লাগার খবর পেয়ে এলাকাবাসী ছুটে যান। স্যালো পাম্পের মাধ্যমে জল তুলে তাঁরা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশও। সোমবার ক্ষতিগ্রস্তরা রাইপুর বিডিওর কাছে ত্রাণের আবেদন করেন। বিডিও দীপঙ্কর দাস বলেন, “প্রত্যেককে ত্রিপল, চাল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও পোশাক পরিচ্ছদ-সহ নগদ ১২০ টাকা প্রত্যেক পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দফতর থেকে প্রত্যেক পরিবারকে নিয়ম মাফিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।”
এ দিন সকালে আগুন লেগে এক ব্যাক্তির খড়ের পালুই পুড়ে ছাই হয়ে গেল কেন্দা থানার জামবাদ গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জামবাদ গ্রামের বাসিন্দা পেশায় চাষি জলধর মাঝির খামার বাড়িতে এ দিন সকালে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। জলধরবাবু বলেন, “খোঁজ করতে গিয়ে দেখি পালুই থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোটা পালুইটা দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল। আমার চিত্কারে প্রতিবেশিরা ছুটে আসেন।” নলকূপ ও কাছাকাছি একটি ডোবার জল এনে আগুন নেভানোর কাজে সবাই লেগে পড়েন। পাশাপাশি আরও অনেকের খড়ের চালার ঘর ছিল। তবে সময়মতো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় কোনও ঘরের ক্ষতি হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, দমকলকে খবর দেওয়া হয়েছিল। তবে তার আগেই গ্রামের বাসিন্দারা আগুন নিভিয়ে ফেলেছেন বলে খবর দেওয়ায় মাঝ রাস্তা থেকে দমকল কর্মীদের ফিরে যেতে বলা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy