অপহরণের অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগকে ঘিরে ভোট-পরবর্তী সময়ে ক্রমশ তেতে উঠছে বলরামপুর। দেউলি গ্রামের এক কংগ্রেস কর্মীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ বার ওই গ্রাম থেকেই তাদের এক কর্মীকে কংগ্রেস অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠল। যে ঘটনায় অভিযুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে বলরামপুর ব্লক কংগ্রেস সভাপতিরও।
দেউলির বাসিন্দা মহাবীর কুমার তাঁর ছোট ছেলে জয়ন্তকে অপহরণ করা হয়েছে বলে সোমবারই ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বলরামপুর থানায়। জয়ন্তর দাদার দাবি, গত শুক্রবার রাতে এলাকার কয়েক জন বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করে। শনিবার পুলিশের কাছে সেই অভিযোগ হয়। রবিবার রাতে তাঁর ভাই জয়ন্ত ওই গ্রামেই তাঁদের অন্য একটি বাড়িতে ঘুমোতে যান। সোমবার সেখানে খোঁজ মেলেনি ওই যুবকের। এর পরেই অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন মহাবীরবাবু।
বলরামপুর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি সুভাষ দাসের দাবি, “জয়ন্ত আমাদের সক্রিয় কর্মী। যেহেতু ওর বৌদির শ্লীলতাহানির ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের কয়েক জন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক, তার বদলা নিতেই তারা জয়ন্তকে রবিবার রাতে তুলে নিয়ে গিয়েছে।” সোমবার সন্ধ্যায় দেউলি গ্রামে গিয়ে জয়ন্তর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো। তিনি বলেন, “জয়ন্ত এই এলাকায় আমাদের দক্ষ সংগঠক। তাই ওকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা পুলিশকে বলেছি, ওকে খুঁজে বের করতে।”
অন্য দিকে, সোমবারই সুভাষবাবু-সহ কংগ্রেসের ৯ জন স্থানীয় নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দেউলির তৃণমূল কর্মী নিমাই পরামানিককে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী তিলোত্তমাদেবী। বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি, তৃণমূলের সুদীপ মাহাতোর অভিযোগ, “সোমবার দুপুরে সুভাষ দাস-সহ কংগ্রেসের কয়েক জন দেউলি গিয়ে আমাদের কর্মী নিমাইকে হুমকি দিয়েছিলেন। তার পর থেকেই আর তাঁর খোঁজ মিলছে না। আমাদের সন্দেহ, নিমাইকে অপহরণ করা হয়েছে।” কংগ্রেসের তোলা অপহরণের অভিযোগ উড়িয়ে সুদীপবাবুর দাবি, জমি সংক্রান্ত গ্রাম্য বিবাদকে রাজনৈতিক রং দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুভাষবাবুও। জেলা পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীরকুমার বলেন, “দুই পক্ষ দু’টি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছে। তার ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। দু’জনকেই খোঁজা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy