মোটরবাইকে বাড়ি ফেরার পথে হামলা হয়েছিল এক যুবকের উপরে। তাঁর বাঁ পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরেছিল হামলাকারীরা। সোনামুখী থানার বোন্দলহাটি শ্মশান এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যার ঘটনা। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম স্বর্ণকান্তি মণ্ডল (৩৬)। বাড়ি খুনের ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে গোপীকান্তপুর গ্রামে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই ঘটনার পিছনে দুই পরিবারের জমিজমা ও পুরনো প্রণয় ঘটিত ঝামেলার যোগসূত্র রয়েছে। বুধবার নিহতের খুড়তুতো দাদা নব মণ্ডল ওই গ্রামেরই বাসিন্দা লাবণ্য ঘোষ, জনার্দন ঘোষ-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সোনামুখী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই অবশ্য অভিযুক্তেরা সকলে পলাতক। পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্তের কাজ শুরু করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে গোপীকান্তপুর গ্রামের ঘোষ ও মণ্ডল পরিবারের মধ্যে জমি-জায়গা সংক্রান্ত বিবাদ চলছে। গত বছর সেই ঝামেলার মধ্যে নতুন করে যুক্ত হয় ওই দুই পরিবারের দুই যুবক-যুবতীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। এর ফলে দুই পরিবারে বিবাদ চরমে ওঠে। গত বছর পুজোর সময় মারামারিও হয় যুযুধান দুই পরিবারে। দু’পক্ষেরই বেশ কয়েক জন জখম হন। তারই জের হিসেবে মঙ্গলবার সন্ধ্যার ওই হামলা বলে গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি।
রাতে স্বর্ণকান্তির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। ঘোষেদের তিনটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বাড়ি ছেড়ে পালান তাঁরা। এলাকারই এক রাজনৈতিক নেতার ক্ষোভ, ‘‘দুই পরিবারে বিবাদ আজকের নয়। অনেক বার মীমাংসার চেষ্টা করেও বিবাদ মেটানো যায়নি। তা বলে নিরীহ এক জনকে খুন করে দেওয়ার মতো ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।’’ উত্তেজনার জেরে গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। নব মণ্ডলের অভিযোগ, “ঘোষ বাড়ির লোকেরা আমাদের পিছনে লেগেছে বহু বছর। আমাদের পরিবারের এক মেয়ের ক্ষতি করতেও চেয়েছিল ওরা। পারেনি। সেই রোষ থেকেই ভাইকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। আমি ওই পরিবারের ১৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি।’’ পলাতক ঘোষ পরিবারের কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy