যুবকের দেহ উদ্ধার করলেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। সোমবার ছবিটি তুলেছেন বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
কোপাইয়ে তলিয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম শেখ সুকুর (২৪)। যুবকের অপমৃত্যুতে পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগও উঠেছে। এ দিন দেহ উদ্ধারে এলে পুলিশকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীর একাংশ। মৃতের পরিবারের দাবি, রবিবার বিকেলে সুকুর নদীতে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে সে খবর জানিয়ে সাহায্য চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু পুলিশ আসে ঘটনার ১৮ ঘণ্টা পরে। ততক্ষণে ভেসে উঠেছে সুকুরের দেহ!
স্থানীয় সূত্রের খবর, বিকেল চারটে নাগাদ লাভপুর থানার গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা শেখ রায়হান এবং তাঁর ছেলে সুকুর বাড়ি যাওয়ার জন্য সর্পলেহনা ঘাট থেকে নৌকায় আমডহরা ঘাটে যাচ্ছিলেন। অসাবধনতাবশত সুকুর নদীতে পড়ে যায়। বর্ষার কোপাইয়ে স্রোতে রয়েছে ভালই। ফলে দ্রুত ভেসে যায়। পরিবারের তরফে দাবি, সুকুর সাঁতার জানতেন না। ছেলে ডুবে যাচ্ছে দেখে নদীর পাড়ে উপস্থিত লোকজনকে চিৎকার করে তা জানান। কিন্তু, সন্ধান মেলেনি সুকুরের। তাঁর মামা আব্দুল মুজিবর খানের মত, পুলিশ সময়ে তৎপর হলে হয়তো ভাগ্নেকে বাঁচানো যেত।
এ দিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ শান্তিনিকেতন থানার ওসি পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই পুলিশকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। কেন অত পরে আসা? কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি শান্তিনিকেতন থানার ওসি পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায়। এ দিকে, বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ তলিয়ে যাওয়ার জায়গা থেকে ৫০০ মিটার দূরে সুকুরের দেহ ভেসে ওঠে। বাসিন্দারাই দেহ তুলে পুলিশের হাতে তুলে দেন। দেহ ময়না-তদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চেন্নাইতে কর্মরত ছিলেন শেখ সুকুর। ইদের জন্য বাড়ি এসেছিলেন। বাবার সঙ্গে ব্যাবসার কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে ওই ঘটনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy