ছিল তৃণমূলের পার্টি অফিস। রাতারাতি হয়ে গেল কংগ্রেসের। নিজস্ব চিত্র।
ছিল তৃণমূলের পার্টি অফিস। রাতারাতি হয়ে গেল কংগ্রেসের। তাও আবার তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে তিহাড়ে বন্দি) জেলা বীরভূমে! পঞ্চায়েত ভোটের আবহে এই ‘উলটপুরাণ’ শোরগোল ফেলেছে জেলার রাজনীতিতে।
শুক্রবার থেকে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার মধ্যে রবিবার ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের ঝিকড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের কোট গ্রামে তৃণমূলের পার্টি অফিস বদলে গেল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে। শাসকদলের পতাকা নামিয়ে পার্টি অফিসে লাগানো হল কংগ্রেসের পতাকা। জোড়াফুলের প্রতীক মুছে আঁকা হল হাতের ছবি। কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, তৃণমূলের বুথ সভাপতি দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাঁর দেখাদেখি গ্রামের বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থকই যোগ দিয়েছেন বলে দাবি কংগ্রেসের। এর পরেই পার্টি অফিসের এই ভোলবদল!
কংগ্রেস সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যায় দল ছাড়েন তৃণমূলের বুথ সভাপতি সানোয়ার শেখ। যোগ দেন কংগ্রেসে। দলবদলের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন সানোয়ার। বলেন, ‘‘তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দল করছি। কিন্তু এই তৃণমূল আর আগের মতো নেই।’’ সানোয়ারের দাবি, দলীয় নেতৃত্বের অসহযোগিতার কারণেই দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘এক নেতার অত্যাচারে দল ছাড়লাম।’’
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য জুড়েই বহু আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল তৃণমূল। তার মধ্যে এগিয়ে ছিল অনুব্রতের জেলা। ২০১৮ সালে জেলা পরিষদের ৪৪টি আসনের সব ক’টিই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। জেলার রাজনৈতিক বৃত্তের একাংশের মতে, সেই বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোটের সময় এমন ঘটনা কার্যত অবিশ্বাস্য! জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘পার্টি অফিস দখলের রাজনীতি খুব খারাপ। এর উত্তর মানুষ নির্বাচনে দেবেন। ওই এলাকার মানুষ কেন দল ছেড়েছেন, সেটা আমরা দলীয় ভাবে নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy