বন্যপ্রাণীর খোঁজে। —নিজস্ব চিত্র।
চিতাবাঘের দেখা আগেই মিলেছে। খোঁজ মিলেছে ভালুকের। এর বাইরেও পুরুলিয়ার বনাঞ্চলে ছোটখাট আর কী কী জন্তু রয়েছে তার হদিস পেতে কংসাবতী উত্তর ও দক্ষিণ ও পুরুলিয়া বন বিভাগে বনসুমারি শুরু করেছে বন দফতর।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন জায়গায় সজারু, খরগোশ, হরিণ, শেয়াল, গন্ধগোকুল, বনশুয়োর, প্যাঙ্গোলিন, হায়নার অস্তিত্ব মিলেছে। বন দফতরের একাংশের দাবি, আগের তুলনায় শেয়ালের সংখ্যা বেড়েছে। তবে খ্যাঁক শেয়াল তুলনামূলক কম পাওয়া যাচ্ছে।
তিনটি পর্যায়ে সমীক্ষা করছে বন দফতর। অতীতে বনকর্মীরা কোন বনাঞ্চলে কী ধরনের পশু দেখেছেন, সেই তালিকা অনুযায়ী ‘হিট ম্যাপ’ তৈরি করা হয়েছে। পরের ধাপে শুরু হয়েছে সাইন এনকাউন্টার সার্ভে। এতে বনকর্মীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে জঙ্গলে পায়ে হেঁটে ঘুরবেন। সঙ্গে থাকবে জিপিএস ট্র্যাকার। এই সমীক্ষায় বনকর্মীরা মূলত পশুর পায়ের ছাপ, বিষ্ঠা ও নখের আঁচড় খুঁজবেন। সেই সমস্ত চিহ্ন দেখেই কোন জঙ্গলে কী ধরনের পশুর অস্তিত্ব আছে, তার তালিকা তৈরি করা হবে। কংসাবতী দক্ষিণ ও উত্তর বন বিভাগের ডিএফও অসিতাভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নভেম্বরের মধ্যেই সাইন এনকাউন্টার সার্ভে শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।’’
তিনি জানান, পুরুলিয়া জেলায় ইতিমধ্যেই চিতাবাঘের দেখা পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও অযোধ্যাপাহাড়, বান্দোয়ান ও গড়পঞ্চকোট এলাকায় উলফ যাকে স্থানীয় ভাবে হুড়াল বলা হয় তার অস্তিত্বও মিলেছে। তিনি বলেন, ‘‘সমীক্ষার শেষ ধাপে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হবে। সাইন এনকাউন্টার সার্ভেতে যে সমস্ত বনাঞ্চলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে, সেই এলাকায় ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হবে।’’ সমীক্ষায় সাহায্য নেওয়া হচ্ছে জঙ্গল, বন্যপ্রাণ ও বন্য পরিবেশ নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর। অসিতাভ বলেন, ‘‘স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ছাড়াও দুর্গাপুর গভর্নমেন্ট কলেজের কনজারভেশন বায়োলজি বিভাগের শিক্ষক ও পড়ুয়াদের রাখা হয়েছে রিসোর্স পার্সন হিসাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy