ভাসমান: বিসর্জনের পরে জলে প্রতিমার কাঠামো, খড়। রামপুরহাটে। নিজস্ব চিত্র
দুর্গাপুজোর বিসর্জন-পর্ব প্রায় শেষ। রামপুরহাট শহরে ৮১টি পুজোর মধ্যে হাতেগোনা ৫-৬টি প্রতিমা নিরঞ্জন বাকি। কিন্তু বিসর্জনের পরে কতটা নির্মল থাকবে শহরের জলাশয়, তা নিয়ে সংশয় ছড়িয়েছে শহরে।
তা যে খুব একটা অমূলক নয়, তা দেখা গেল রামপুরহাট পুর-এলাকায় কয়েকটি পুকুর দেখেই। দ্বাদশীতেও দুর্গাপ্রতিমার কাঠামো এখনও ভাসছে সে সবের জলে। জলেই পচছে খড়, সুতো, ফুল, পুজোর অন্য উপকরণ।
রামপুরহাট শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে রেলওয়ে ইনস্টিটিউট সংলগ্ন পুকুর রয়েছে গ্রিনসিটি প্রকল্পের আওতায়। সেটির সৌন্দর্যায়নে বাঁধানো ঘাট, লোহার রেলিং তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই পুকুরেও ভাসতে দেখা গেল কাঠামো, প্রতিমার সাজ। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ডাক্তারপাড়ার পুকুরেরও একই অবস্থা। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তাঁতপুকুরের জলেও কাঠামো। পচছে খড়, ফুল।
শহরবাসীর একাংশ জানান, রামপুরহাটের চালধোয়ানি পুকুর, হরিসভা পুকুর, গাঁধী পুকুর ‘গ্রিনসিটি’ প্রকল্পে সংস্কার করা হয়েছে। অভিযোগ, কিন্তু সে সব পুকুরে প্রতিমা বিসর্জনের পরে জল থেকে কাঠামো তোলার ক্ষেত্রে নজর রাখছে না কেউ-ই। তার জেরে দূষণ ছড়াচ্ছে জলে।
এ নিয়ে রামপুরহাট দুর্গাপুজো সমন্বয় কমিটির সম্পাদক নিরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, একাধিক বার বৈঠকে পুজোর উদ্যোক্তাদের প্রতিমা নিরঞ্জনের পরে কাঠামো এবং প্রতিমার অন্য সরঞ্জাম পুকুরের জল থেকে তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও উদ্যোক্তাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। পুজো কমিটিগুলিকে ফের ওই বার্তা দেওয়া হবে।
পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারি বলেন, ‘‘গ্রিনসিটি প্রকল্পে শহরের বিভিন্ন পুকুরের সংস্কার করা হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনের পরে কাঠামো সরিয়ে ঘাট পরিষ্কারের দায়িত্ব পুজো কমিটিগুলিরও।’’
বোলপুরে বিসর্জনের পরে জল-দূষণের ছবি দেখা গিয়েছে। দশমীতে কয়েকটি বাড়ির প্রতিমার পাশাপাশি সর্বজনীন পুজোর প্রতিমাও বিসর্জন দেওয়া হয়েছে শহরের বিভিন্ন জলাশয়ে। দ্বাদশী পর্যন্ত শহরের বেশিরভাগ প্রতিমার বিসর্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবারও সে সব জলাশয়ে প্রতিমার কাঠামো, ফুল ভাসতে দেখা গিয়েছে। হাটতলার কালীপুকুর, ভুবনডাঙা পুকুর, শুঁড়িপুকুর-সহ অন্য জলাশয়ের দেখা গিয়েছে এমনই ছবি।
এ নিয়ে বোলপুরের উপ-পুরপ্রধান নরেশ বাউরি বলেন, ‘‘পুরসভার তরফে পুজো উদ্যোক্তাদের জলাশয় থেকে কাঠামো সরিয়ে নিতে বলা হয়েচে। তা না হলে সাত দিন পরে পুরসভার উদ্যোগেই সব জলাশয় পরিষ্কার করে দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy