— প্রতীকী চিত্র।
কিশোরীকে ধর্ষণ এবং তার অশ্লীল ছবি ও ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল বর্ধমান সাইবার থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম শেখ আমির হোসেন ও রাজু হক মোল্লা। গলসি থানার শশঙ্গায় প্রথম জনেrর বাড়ি। অপর জনের বাড়ি গলসি থানারই শিমুলিয়ায়। রবিবার ভোরে বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের রবিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতদের পাঁচদিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। সে কারণে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে সোমবার ধৃতদের পকসো আদালতে পেশের নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম। সেখানেই পুলিশি হেফাজতের আবেদনের শুনানি হবে।
রবিবারই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে কিশোরীর গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করিয়েছে পুলিশ। ধৃতদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। তা মঞ্জুর করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক স্টেট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার বিষয়ে ওই কিশোরী নিজেই থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগে সে জানিয়েছে, বছরখানেক আগে আমির তাঁকে ধর্ষণ করে। তার অশ্লীল ছবি মোবাইলে তুলে রাখে। কিছু দিন আগে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। হোয়াটসঅ্যাপে তার অশ্লীল ছবি পাঠানো হয়। এমনকি তাকে রাজুর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্যেও বলা হয়। সে রাজুর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য হয়। রাজু তাঁর মোবাইল থেকে ওই ব্যক্তিকে ফোন করে। এর পর রাজুর মোবাইল থেকেও আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়ানো হয়। থানার এক অফিসার বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ৪, ৬ ও ১২ ধারার পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি আইনে ৬৭ ও ৬৭বি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। মোবাইল উদ্ধারের জন্য ধৃতদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy