Sourced by the ABP
শান্তিনিকেতন: শান্তিনিকেতনকে ইউনেস্কো ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ বা বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্রের স্বীকৃতি দেওয়ার পরে, প্রথম পৌষমেলা এ বার। পাঁচ বছর পরে শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মাঠে ফের সেই ঐতিহ্যের পৌষমেলার আয়োজন করছে বিশ্বভারতী। কাল, সোমবার সে মেলার উদ্বোধন হওয়ার কথা। মেলায় এ বার থাকছে না বাংলাদেশের কোনও স্টল। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণেই স্টল দেওয়া হচ্ছে না বলে সূত্রের খবর। নেপাল, ভুটান-সহ অন্য কোনও দেশের স্টলও থাকছে না। তা বলে পর্যটকদের ভিড় কম নয়। হোটেল, রিসর্ট, হোম-স্টেগুলিতেও তিল ধারণের জায়গা নেই।
পৌষমেলা কমিটির তরফে দেবাশিস রায়, ভ্রমর ভাণ্ডারী বলেন, “যে-সব বিদেশি স্টল মেলায় আসে প্রতিবার, সেগুলি এ বছর না আসায় খারাপ লাগছে।” ঐতিহ্য এবং প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাজানো হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেলের তরফে থাকছে বিশেষ প্রদর্শনী। সেখানে শান্তিনিকেতনের বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্রের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থান চিত্র প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হবে। থাকবে শান্তিনিকেতন আশ্রম সম্পর্কে বিশদ বিবরণ।
ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম সাক্ষাতের শতবর্ষ এ বার। সে উপলক্ষে মেলায় বিশেষ প্রদর্শনী করছে রবীন্দ্রভবন। তাতে আর্জেন্টিনার লেখিকা ভিক্টোরিয়া সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সাক্ষাতের ছবি, কবির ‘পূরবী’ পান্ডুলিপির পাতায় কাটাকুটি ও আঁকিবুকির মধ্যে দিয়ে ফুটে ওঠা চিত্রকলা প্রদর্শিত হতে চলেছে। রবীন্দ্রনাথের চিন যাত্রার ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষেও বিশ্বভারতীর চিনা ভবনের প্রদর্শনী থাকছে। রবীন্দ্রনাথ জাহাজে করে চিনে পৌঁছনোর সময়কার দুর্লভ ছবি-সহ চিন সফরের বিভিন্ন ছবি, রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে চিনা ভবনের প্রতিষ্ঠাতা-অধ্যক্ষ তান ইয়ুন শানের পত্রালাপ, কিছু টেলিগ্রাম প্রদর্শনীতে রাখা হবে।
এ বছর পৌষমেলাকে পরিবেশবান্ধব মেলা হিসাবে আয়োজনের চেষ্টা চলছে। প্লাস্টিক-মুক্ত মেলা করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী। মেলায় প্লাস্টিকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মেলা কমিটির তরফে কিছু পরিবেশবান্ধব ব্যাগ সরবরাহ করা হবে। মেলার মাঠ চত্বর সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy